শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৫

                           মহাবিশ্ব ও আমাদের পৃথিবী(পর্ব:১)


পৃথিবীর উপরে ওই যে নীল আকাশ অসীম শুন্যতা ওর প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরকালের। মহাবিশ্বের ধারনা কিছুদিনের-বিংশ শতাব্দির। তবে আগেকার জোতির্বিদদের ধারনাও উল্লেখ না করলেই নয়। এ সম্পর্কে প্রথম কল্পনা করেন ব্যাবিলনের জতির্বিদদের। খীস্টপূর্ব প্রায় তিন হাজার বছর আগে তারা কল্পনা করেছিলেন, পারস্য উপসাগরের কাল পানিই সৃষ্টির উৎস। এর গহ্বর থেকে প্রথমে উঠে এসেছে পৃথিবী , তারপর পৃথিবীকে বেষ্টন করার জন্য 'খুবুর' নামক সামুদ্রিক স্রোত। সবশেষে অসংখ্য নক্ষত্র খচিত ন...ীল আকাশ। সেখানকার দেবতা সূর্য এবং সূর্য দেবতাই তার নিজের ইচ্ছানুযায়ী নক্ষত্রদের ঘুরাচ্ছেন আকাশ পথে।
মিশরীয়রা মনে করত, ঘন তমসাবৃত 'নু' নামে আদিম মহাসাগর থেকে আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি।
কুরআনে উল্লেখ আছে, অসীম শূন্যতার মাঝে আল্লাহ তা'আলার আদেশে সমগ্র বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি হয়।
বাইবেলে বলা হয়েছে, ঈশ্বরের আদেশে আদিম মহাসমুদ্রের মাঝখান থেকে উঠে এসেছে নীল আকাশটা এবং ওর বাসিন্দা চন্দ্র, সূর্য ও তারা।
বেদ উপাখ্যানে বলা আছে, আদিতে কোথাও কিছু ছিলনা। তারপর স্রষ্টার নির্দেশে আদিম মহা-অন্ধকার এবং মহা-শুন্যতার মাঝখানে একদিন নিহিত হয় সৃষ্টির বিজ। কোথায় এবং কেমন করে যে নিহিত হয়েছিল, তা কেউ জানে না। এমন কি দেবতারাও না। কেননা দেবতাদের আবির্ভাব এই সৃষ্টির পরে।যাই হোক না কেন, আজকের দিনে বিজ্ঞানের কৃপায় বহু অজানাকে জানা গেছে, প্রকৃতির বহু রহস্য উদ্‌ঘাটনও হয়েছে। তবু বলতে হয় যে বিশ্ব সৃষ্টি সম্পর্কে মানুষের ঙ্গান এখনও প্রাথমিক স্তরে। অবশ্য মানুষের প্রচেষ্টার কোন অন্ত নেই। সহস্র বিজ্ঞানী এখন আজ মাথা ঘামাচ্ছেন এ বিষয়ে।
বিশ্ব সৃষ্টির ব্যাপারে কালে কালে বহু তথ্যের আমদানি হলেও প্রকৃত বিজ্ঞান ভিত্তিক তত্ত্বতি প্রদান করেন জর্জ গ্যামো, উইতসেকার প্রমুখ বিজ্ঞানিরা। এটিই বিশ্ব বিখ্যাত 'Big Bang' বা... 'মহা-বিস্ফোরণবাদ' তত্ত্ব। বর্তমানে সবাই এই তত্ত্বটি মেনে নিয়েছেন। বিগ ব্যাং যাচাই করতে গিয়ে ভাল ফলই পাওয়া গেসে। বিজ্ঞানিদের ধারনা, আদিম বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড এত বড় ছিল না। হিন্দু পুরান অনুসারে, আদিতে বিশ্বটা ছিল প্রজাপতি ব্রহ্মার অন্ড সদৃশ। তাই এর নাম ব্রহ্মান্ড। সেই ব্রহ্মান্ড প্রসারিত হতে হতে আজকের এই অকল্পনীয় বিশাল বিশ্ব। প্রসারন এখনও অব্যাহত আছে। বিজ্ঞানিদের বিশ্বাস, আদিম নিরাকার বিশ্বে কোন কিছুই ছিল না এমন নয়; অর্থাৎ মহাশূন্য বলতে যা বুঝায় তা নয়। অতি বিরল ভাবে অবস্থান করছিল কিছু আদিম কনা।আর ব্রহ্মান্ডটার ব্যাপ্তিও কিছু কম ছিল না, যদিও আজকের তুলনায় তা নিতান্তই তুচ্ছ ছিল। আদিম কনিকা গুলো যে কি ছিল সে ব্যাপারে বিজ্ঞানিরা একমত নন। কোন এক সময় কনিকাগুলোর মধ্যে কোন কারণে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল। কয়েক আলোকবর্ষ ব্যাপী ব্যাপ্তির মধ্যে অস্থিরতা যে কোন কারনে আসতে পারে এবং এই অস্থিরতার দরুন আদিম কনিকাগুলো এক বিশাল আয়তনের মধ্যে জড়ো হওয়ার সুযোগ পায়। পরে এটি আবর্তন করতে শুরু করলে সেগুলো জমাট বাঁধতে শুরু করে এবং প্রকাশ পায় আকর্ষণ বল। পরে আবর্তন বল

SHARE THIS

Facebook Comment

0 মন্তব্য(গুলি):