শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৭

রিভিউ : iOS 11; যে দশটি বিষয় আপনাকে বিবেচনা করতেই হবে

রিভিউ : iOS 11; যে দশটি বিষয় আপনাকে বিবেচনা করতেই হবে

OS 11 এখন এভেলেবল। অফসিয়ালি গত কয়েক বছরে তৈরী সকল আইফোন এবং আইপ্যাড এর জন্যে iOS 11 রিলিজ করা হয়েছে। আপনি একজন এপল পন্য ব্যবহারকারী হলে সম্ভাবনা হল আপনি আপনার OS আপগ্রেড করছেন। যদি আপনি ইতিমধ্যেই তা করে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই আগের iOS এর চেয়ে iOS 11 এ বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন। যদিও কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে কিন্তু নতুন iOS আর আগের iOS এর ব্যবহার অভিজ্ঞতা এক রকমই হবে, আপনি কিছুদিন ব্যবহার করলে নিজেও সেটা বুঝতে পারবেন। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, কন্ট্রোল সেন্টার ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত কিন্তু নোটিফিকেশন হালকা একটু পরিবর্তিত কিন্তু আগের মতই হোমস্ক্রীন এপগুলোর কমফোর্টেবল গ্রিড পাবেন। অর্থাৎ, নতুন অনেক কিছুই কিন্তু অপরিচিত কিছুই নয়।

iPad এর গল্পটা একদমই ভিন্ন। এপ ম্যানেজমেন্ট এবং এপ সম্পর্কিত সবচেয়ে ইউনিক বা মৌলিক পরিবর্তন এপল করেছে এই iPad এ। এপল এখানে এপ ডক(App Dock) নামে একটি ফিচারের পরিচয় করিয়ে দিয়েছে যার মাধ্যমে iPad এর যেখানেই, যে অবস্থায়, যাই করতে থাকুন না কেন শুধুমাত্র উপরের দিকে সোয়াইপ করে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এপগুলো বের করতে পারবেন অনেক বেশি দ্রুত। একই সাথে মাল্টিটাস্কিং এর কাজ করার ধরণেও পরিবর্তন দেখা যায় iPad এ। যার ফলে স্প্লিট স্ক্রীণ এপ পরিচালনা আরো বেশি ফ্লেক্সিবল হয়েছে।

চলুন দেখে নেই iOS 11 এ আপগ্রেড করার পর আপনাকে যে ১০টি বিষয় এর প্রতি আপনাকে দৃষ্টি দিতেই হবে;

কন্ট্রোল সেন্টার কাস্টমাইজ করা

সম্পূর্ণ নতুন iOS 11 এ সর্বপ্রথম যে বিষয়টি আপনাকে নাড়াচাড়া করে দেখতে হবে তা হল কন্ট্রোল সেন্টার(Control Center)। এটাকে সম্পূর্ণ নতুনভাবে এমনকরে ডিজাইজ করা হয়েছে যে একাধিক সোয়াইপেবল স্ক্রীণের বদলে এক স্ক্রীণের মাঝেই সম্পূর্ণ কন্ট্রোল প্যানেল বলতে গেলে এঁটে যায় বা একটি স্ক্রীণের মাঝেই সম্পূর্ণ কন্ট্রোল প্যানেলের সংস্থান হয়।

ফ্ল্যাশলাইটের উপর ফোর্স টাচ করলে একটি প্যানেল ওপেন হয় যেখান থেকে ফ্ল্যাশলাইটের তীব্রতা নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। নেটওয়ার্কিং প্যানেল ফোর্স টাচ করে ওয়্যারলেস রেডিও এবং হটস্পট টগল করার বাটন ওপেন করা যায়। একটি সুন্দর ব্যবস্থা হল, এয়ারপ্লেন মোড চালু করার পর যদি ব্লুটুথ চালু করেন তাহলে এই টগলটা সেখানে থেকে যায় ফলে পরবর্তীতে যখন এয়ারপ্লেন মোড চালু করবেন তখন আপনার ব্লুটুথ হেডফোন ডিসকানেক্ট হবে না।

প্রথমবারের মত এপল সেটিংস এ এমন কাস্টমাইজ করার ব্যবস্থা প্রদান করছে যেখানে আপনি ইচ্ছা করলে কন্ট্রোল প্যানেলে কোন বাটন থাকবে বা কোন বাটন থাকবে না সেটা ঠিক করে দিতে পারবেন। এবং আপনার ইচ্ছামত ক্রমে সাজিয়েও নিতে পারবেন। সবসময়ের মত এপল কোন থার্ড পার্টি ডেভেলাপারদের কোন কিছু এখানে ব্যবহার করার কোন সুযোগ দিচ্ছে না।

আপনাকে সন্তুষ্ট করার মত বেশ কিছু কন্ট্রোল প্যনেল ফিচার রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, Apple Tv Remote এর জন্য কুইক এক্সেস রয়েছে; লক স্ক্রীণের জন্য কন্ট্রোল প্যানেল অন করে রাখলে এটা আসল রিমোটের চেয়েও বেশি কার্যকর হতে পারে। স্ক্রীণ রেকর্ডিং ফিচারটিও বেশ উন্নত। আপনি স্ক্রীণে যাই করতে থাকেন না কেন স্ক্রীণ রেকর্ডিং খুব নিখুঁতভাবে এর ভিডিও করে রাখতে সক্ষম। টেক রিভিউ এবং টেক সাপোর্টের জন্য এই ফিচারটা বেশ কার্যকর তা ছাড়াও এটি গেমপ্লে ভিডিও রেকর্ড করা সহ বেশ কিছু কাজে ব্যবহার করা সম্ভব।

যদিও এপল Wifi নেটওয়ার্ক সিলেকশনের জন্য কোন কুইক এক্সেস স্ক্রীণের কোথাও নেই। Wifi নেটওয়ার্ক সিলেক্ট করার জন্য বা চেঞ্জ করার জন্য আপনাকে সেটিংস এ যেতেই হবে। ব্লুটুথ এর ব্যাপারটা সহজ হলেও লোকেশন অন করাও WIfi এর মত ঝামেলার।


নোটিফিকেশন কিভাবে কাজ করে

এক্ষেত্রে এপল কিছুটা অলসতা দেখিয়েছে। নোটিফিকেশনগুলি খুব দ্রুত স্ক্রীণে আসে এবং নোটিফিকেশন আসার সময় যে সাউন্ড হয় সেটা আহামরি কিছু নয়। iOS 11 এর নোটিফিকেশন সিস্টেম অনেককেই হতাশ করবে। একটা ছোট X বাটনে ক্লিক করে আপনি সমস্ত নোটিফিকেশন সরিয়ে দিতে পারবেন।

যদিও এখন এপল নোটিফিকেশন সোয়াইপ করে সরিয়ে ফেলার এবং একসাথে সব সরিয়ে ফেলার জন্যও ব্যবস্থা রেখেছে কিন্তু এন্ড্রয়েডের মত উন্নত নোটিফিকেশন সিস্টেমের অনেক কিছুই উপেক্ষা করেছে। যেমন একই এপ এর নোটিফিকেশনগুলি গ্রুপ করে একসাথে রাখা কিংবা বেশি গুরুত্বপূর্ণ নোটিফিকেশন সবার উপরে রাখা।

iOS 11 এর নোটিফিকেশনের সবচেয়ে ভাল দিক হল উপর থেকে যে শেডটা আপনি টেনে নামাবেন সেটা লক স্ক্রীণের মত একই। দেখতে এবং কাজের ক্ষেত্রে একই রকম। আরো নিচের দিকে সোয়াইপ করে ক্যামেরা এবং উইজেট স্ক্রীণে যেতে পারবেন।

iPhone X এ iOS 11 এর একটি বিশেষ ফিচার দেখতে পাওয়া যায়। ডিফল্টলি লক স্ক্রীণে আপনার নোটিফিকেশনগুলি হাইড হয়ে থাকবে শুধুমাত্র iPhone X এ। এবং ফেস রিকগনিশন এর মাধ্যমে আপনার মুখ চিহ্নিত হলে নোটিফিকেশন আনহাইড হয়ে যাবে।


ফাইলস এপ 

এরপর আপনি যেটা দেখতে পারেন সেটা হল iOS 11 এর ফাইলস এপ(Files App)। এককথায় অসাধারণ। iCloud Ecosystem এ যদি আপনি সংযুক্ত থাকেন তাহলে আপনার অন্যান্য ডিভাইসে সেভ করা সমস্ত ফাইল আপনি এখানে দেখতে পাবেন এমনকি আপনার ম্যাক ডেস্কটপ এর ফাইল এবং ডকুমেন্টস ও এখানে পাবেন।

আগের থেকে যদিও পরিবর্তিত কিছু মনে হচ্ছে না কিন্তু এখানে এপল নতুনত্ব এনেছে। প্রথমবারের মত আপনাকে থার্ড পার্টি স্টোরেজ এপস(Box, Dropbox, Google Drive, Onedrive) ব্যবহারের পূর্ণ স্বাধীনতা এবং সক্ষমতা দিয়েছে। ফাইলস এপের সাথে যদিও এই এপগুলোর লিংক খুবই কম তবে সময়ের সাথে এটা আরো ভালো হয়ে উঠবে আশা করাই যায়।


ড্র্যাগ এন্ড ড্রপ কিভাবে কাজ করে

আইফোনে শুধুমাত্র দুটি জায়গায় আপনি ড্র্যাগ এন্ড ড্রপ করতে পারেন। তার একটি হল হোম স্ক্রীণ; এটা খুবই ভালো একটি ফিচার। যখন আপনি ফোর্স টাচ না করে কোন একটি এপ অনেক্ষণ ধরে টাচ করে রাখেন বা লং-প্রেস করেন জিগলি মোডে যাবার একটি আইকন দেখা যাবে, এখন আপনি আগের মতই আইকনকে ইচ্ছামত ড্র্যাগ করতে পারেন। দ্বিতীয় জায়গা যেখানে আপনি ড্র্যাগ এন্ড ড্রপ করতে পারেন তা হল ফাইলস এপ(Files App)। এখানে আপনি একাধিক ফাইলস একসাথে মুভ করতে পারেন। দুর্ভাগ্যবশত আপনি যদি হোম বাটনে চাপ লাগান তাহলে সব শেষ। আর ড্র্যাগ বা ড্রপ করতে পারবেন না।

যদিও iPad এ ড্র্যাগ এন্ড ড্রপের বেশ অনেক সুবিধা আছে কিন্তু আইফোনে তা নেই।


আইপ্যাডে মাল্টিটাস্কিং

আইফোনে মাল্টিটাস্কিং বলতে গেলে আগের মতই আছে। কিন্রু আইপ্যাডে মাল্টিটাস্কিং প্রায় বৈপ্লবিকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। এত বছর ধরে যারা আইপ্যাডে বাস্তব কাজ করার চেষ্টা করেছে তাদের জন্য এটা খুবই ভাল পরিবর্তন।

আগের মতই স্প্লিট স্ক্রীণ ব্যবহার করতে পারবেন। তবে Skinny এপকে দুইপাশে সেট করার ক্ষেত্রে আপনি বেশি স্বাধীনতা পাবেন। যখন আপনি স্প্লিট স্ক্রীণ করেন তখন এপ দুটি পেয়ারড হয়ে যায় ফলে মাল্টিটাস্কিং ভিউ এ এপ দুটি রান করে।

এখন আপনি ইচ্ছা করলে তৃতীয় এপ ব্যবহার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে অন্য যেকোন একটি এপের উপর Slide Over হিসেবে তৃতীয় এপ ওপেন করতে পারবেন। আবার ইচ্ছা করলে উইন্ডো এরুপর একটি হ্যান্ডেল টেনে নিয়ে এসে স্লাইড ওভার এপকে পূর্ণাঙ্গ স্প্লিট স্ক্রীন এপে পরিবর্তিত করতে পারবেন। এটা অনেকটা ম্যাকে পাওয়া উইন্ডো সিস্টেমের মত।


স্ক্রীণশট তুলুন

বিগত কয়েক বছরে স্ক্রীনশট তুলার ব্যাপারটি ট্রেন্ড এবং বলতে গেলে ক্রেজে পরিণত হয়েছে। মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এপল নতুন iOS 11 এ স্ক্রীণশটের ধারণা নিয়ে বেশ অনেক কাজ করেছে।

এখন আপনি যখন কোন স্ক্রীণশট তুলেন তখন বামদিকে নিচে একটা ছোট থাম্বনেইল ওপেন হয়। এখান থেকে সোয়াইপ করে স্ক্রীণশটটি সেভ করা যাবে আবার এটার উপর ট্যাপ করলে ছোট একটা এপ ওপেন হবে এখান থেকে স্ক্রীনশটটিকে আপনি ক্রপ করতে, এনোটেশন যুক্ত করতে, পেন্সিল বা পেন টুলের সাহায্যে কোন কিছুর উপর কোণ মার্ক করা বা কোন কিছু অঙ্কণ করতেও পারবেন।


লাইভ ছবি চালু করুন

আপনি যদি আগে লাইভ ফটো অপশন বন্ধ করে দিয়ে থাকেন কারণ এটা চালু রাখার কোন কারণ ছিল না তাহলে এখন চালু করে নিন লাইভ ফটো অপশন।

কিন্তু মূলত লাইভ ছবিকে নতুন লুক দিতে এপল নিয়ে এসেহে নতুন প্রযুক্তি। যখন কোন ইমেজের উপর ফোর্স প্রেস করে লাইভ ফটো অপশন চালু করবেন তখন লাইভ ফটো তৈরী করার সময় যে ছোট ভিডিও তৈরী হয়েছে সেটা দেখতে পারবেন। এই ভিডিও দিয়ে লাইভ ফটোতে বেশ কিছু এডিটিং এর কাজ করতে পারবেন। বাউন্স ব্যাক, লুপ, থ্রু টাইম, লং এক্সপোজার এর মত কাজ করতে পারবেন এই ভিডিও এর সাহায্যে।

আর আপনি যদি নতুন কোন আইফোন ব্যহবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই Portrait Lighting ফিচারটি ব্যবহার করতে ভুলবেন না।


নতুন ডিজাইন শুধুই দেখতে পারেন

আপনি হয়ত এটাই করছেন। 






























































































ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ- আসলে কি? নিশ্চিত মৃত্যুফাঁদ? নাকি আছে অন্যগল্প? আপনি কি ব্লু হোয়েলের থাবা থেকে নিরাপদ? (ব্লু হোয়েলের আদ্যোপান্ত)

ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ- আসলে কি? নিশ্চিত মৃত্যুফাঁদ? নাকি আছে অন্যগল্প? আপনি কি ব্লু হোয়েলের থাবা থেকে নিরাপদ? (ব্লু হোয়েলের আদ্যোপান্ত)

কিছুদিন ধরে রাত্রে ঠিকমত ঘুম হচ্ছে না কারণ এই ব্লু হোয়েল-ব্লু হোয়েল আর ব্লু হোয়েল। এই ব্লু হোয়েলের *** এখন আর দাঁড়াতে পারছি না। আর তাই এই ব্লু হোয়েল গেঞ্জাম/ক্রেজ/হাইপের মাঝে একটা ব্রেক লাগানোর চেষ্টায় আমি লিখছি আজকের এই টিউন।

ব্লু হোয়েল গেম আসলে কি? এটা কি নিশ্চিত মৃত্যুফাঁদ? মরণখেলা? আপনি কি ব্লু হোয়েল থেকে নিরাপদ? কিভাবে তৈরী হল এই ব্লু হোয়েল? বাংলাদেশে এলো কিভাবে? এরকমই কিছু প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করব আজকের টিউনে। তো চলুন শুরু করা যাক।

প্রথমেই জেনে নেয়া যাক এই, Blue Whale জিনিসটা আসলে কি। অনেকেই হয়ত জানেন এটা একটা গেম। থামেন ভাই, ব্লু হোয়েল আদতে কোনভাবেই গেম নয়। এর কোন গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেস নেই, না এতে আপনি কোন ক্যারেক্টার কন্ট্রোল করতে পারবেন আর না ই আপনি কোন মিশন কমপ্লিট করতে পারবেন। তাহলে কি এই ব্লু হোয়েল বা নীল তিমি?

Blue Whale Challenge(ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ) হল একটা ইন্টারনেট ভিত্তিক চ্যালেঞ্জ যেটা আপনার জীবনকে হুমকির সম্মুখে ফেলতে সক্ষম।
সহজ ভাবে বলছি, ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ হল একটা মেসেজিং ওয়েবসাইট। যেখানে একজন ব্যবহারকারী শুধুমাত্র সাইটের এডমিনকে মেসেজ করতে পারবে। এডমিন ব্যবহারকারীকে প্রত্যেক দিন একটা করে ৫০ দিনে মোট ৫০টা চ্যালেঞ্জ বা টাস্ক দিবে সম্পন্ন করার জন্য। আর এডমিনরা ব্যবহারকারীকে এই টাস্ক সম্পন্ন করার জন্য বাধ্য করে থাকে। বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইল করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে বাধ্য করা হয় যেকোন ভাবে টাস্ক সম্পন্ন করতে। এবং কেউ একজন একবার এই চ্যালেঞ্জ শুরু করলে শেষ না করা পর্যন্ত তার আর মুক্তি নেই। এবং বেশিরভাগ সূত্রমতে ৫০টি টাস্কের ৫০তম টাস্ক হল ছাদ থেকে লাফ দেয়া বা নিজেকে শেষ করে দেয়া।

ব্লু হোয়েল একটি ডার্ক ওয়েব গেম বা চ্যালেঞ্জ। এটি তৈরী করেছিল ২১ বছর বয়সী রাশিয়ান ফিলিপ বুদেকিন। যে কিনা একজন মনোবিজ্ঞানের ছাত্র এবং যাকে তার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়া হয়। তার ভাষ্যমতে এই গেমটি সে তৈরী করেছে পৃথিবী থেকে জঞ্জাল দূর করার জন্য, সমাজ থেকে মূল্যহীন কীট দূর করার জন্য। ব্লু হোয়েল গেমটি ভাইরাল হয় ২০১৬ সালে রাশিয়ান সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম Vkonatakte তে।

সারাবিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের দেয়া তথ্য থেকে জানা যায় কমপক্ষে ১৩০জন কিশোর-কিশোরী এই গেমের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছে। এবং বলা হচ্ছে গত ৫ই অক্টোবর রাজধানীর হলি ক্রস স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী অপূর্বা বর্ধন স্বর্ণা এই ব্লু হোয়েল গেমের কারণে আত্মহত্যা করেছে(অন্তর তার পরিবারের এটাই দাবি)। তার মানে কি গেমটি বাংলাদেশে তার জাল বিস্তার করতে শুরু করেছে?

ব্লু হোয়েল সম্পর্কিত এইসব প্রশ্নের উত্তর পেতে এবং জানতে ব্লু হোয়েল গেমের আদ্যোপান্ত দেখতে হবে ভিডিওটি;
https://www.youtube.com/watch?v=mtqIlsQ0fco&t