ব্লগার বিশেষজ্ঞ হয়ে যান, ব্লগার টিউটোরিয়াল: আদ্যোপান্ত (পর্ব-১; ব্লগের ইতিহাস এবং ব্লগার শুরু)

Blogger বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ফ্রী ব্লগিং প্লাটফর্ম। টেক জায়ান্ট Google এর একটি সেবা হল Blogger। ফ্রী অনলাইন ব্লগ তৈরির জন্য...

Very Recent Posts

সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২২

প্রযুক্তি সংস্কৃতির ব্যার্থতা এবং ছিদ্রগুলো জানুন(প্রযুক্তি দুনিয়ার স্ক্যান্ডাল)।

প্রযুক্তি সংস্কৃতির ব্যার্থতা এবং ছিদ্রগুলো জানুন(প্রযুক্তি দুনিয়ার স্ক্যান্ডাল)।

প্রযুক্তিবোদ্ধারা সবসময় ব্যস্ত নতুন কি গেজেট আসছে, যে গেজেটটা কিছুদিন আগে এসেছে সেটা কেমন পারফর্ম করছে, ভবিষ্যতে কি ধরণের প্রযুক্তি পণ্য আসতে চলেছে, কোন পণ্যে কি সমস্যা আছে এই সব বিষয় নিয়ে। কিন্তু প্রযুক্তি দুনিয়ার, প্রযুক্তি সংস্কৃতির নিজের যে ছিদ্রগুলো, যে ব্যার্থতাগুলো আছে সেগুলো নিয়ে কেউ কোন কথা বলে না। এমন ভাবে ব্যার্থতা এবং ছিদ্রগুলো প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা এড়িয়ে চলে যাতে মনে হয় আসলে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কোন স্ক্যান্ডাল নেই। ব্যাপারটা আসলে এমন না যে প্রযুক্তি সংস্কৃতির কোন সমস্যা নেই। প্রযুক্তি দুনিয়ায় অনেক ছিদ্র আছে, অনেক ভুল আছে, অনেক সমস্যা আছে কিন্তু তারপরও এগুলো এড়িয়ে যাবার কারণ হল প্রযুক্তির সকল ব্যার্থতাগুলো, সকল ছিদ্রগুলো অস্পষ্ট। কেননা কোন প্রযুক্তিই আসলে পুরোপুরি ব্যার্থ হয় না। কোন প্রযুক্তিই ১০০% ভাল হয় না বা খারাপ হয় না। আর সবচেয়ে বড় কারণ হল আমরা ব্যার্থতাগুলো ভুলে যেতে চাই, সেগুলো একদম হারিয়ে যাক এমন চাই। কিন্তু আসলে সেটা হয় না আর হওয়াটাও ঠিক না। ব্যার্থতাগুলো, ছিদ্রগুলো, ভুলগুলো আমাদের মনে রাখতে হবে। সেগুলো মনে রেখেই আমাদের পরবর্তিতে এই ভুলগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে, ভুলে গেলে হবে না ব্যার্থতাই সাফল্যের জন্মদানকারী।
আজকে এই টিউনে আমরা প্রযুক্তি সংস্কৃতির ছিদ্র, ভুল এবং ব্যার্থতা নিয়ে আলোচনা করব। তো চলুন শুরু করা যাক।
এই পোস্টে কোন পণ্যের ব্যার্থতা বা ভুল নিয়ে কোন কথা বলা হয়নি। আমি আবারো বলছি কোন পণ্য সম্পর্কে আলোচনা করা হয়নি। পোস্টটিতে সম্পূর্ণ প্রযুক্তি সংস্কৃতি বা দুনিয়া সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আর তাই দয়া করে কোন বিতর্ক সৃষ্টি করবেন না।

বাতির নিচে অন্ধকার

ইন্টারনেট ছাড়া নাকি এক মুহুর্তও চলা সম্ভব না। আমাদের দৈনন্দিন জীবনকালের প্রায় সকল কাজের জন্য আমরা হয়ে পড়েছি ইন্টারনেট নির্ভর, ইন্টারনেট ব্যাতীত কোন একজন মানূষের জীবন আমরা কল্পনাও করতে পারি না। বাতির নিচে আসলেই চিরকাল অন্ধকার থাকে। আজকে আমি এই আর্টিকেলটি প্রকাশ করতেও ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়েছি। ইন্টারনেট থেকে তথ্য নিয়েছি, ইন্টারনেট থেকে ছবি নিয়েছি, ইন্টারনেটের একটি মাধ্যমে লিখেছি এবং প্রকাশও করছি একটি ইন্টারনেট প্লাটফর্মে।  আজকাল যেসময় আমরা যখন হাই-স্পিড ইন্টারনেট কানকশনের কথা বলছি, যখন ১০ এমবিপিএস/ ১৫ এমবিপিএস এর ইন্টারনেট কানেকশনও আমাদের কাছে ধীরগতির মনে হয় সেই একই সময় পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক মানুষের কাছে কোন ইন্টারনেট সংযোগ নেই। ৪০০ কোটিরও বেশি মানুষ ইন্টারনেট সুবিধা বঞ্চিত। আমরা আজ তাদের নিয়ে সেই ইন্টারনেটেই লিখছি। কিন্তু তাদের কাছে হাই-স্পিড ত দূরে থাক নেই কোন ইন্টারনেট।


অ্যাপ ইন্ডাস্ট্রি

যখনই আমরা অ্যাপ ডেভেলাপিং বা প্রোগ্রামিং এর নাম শুনি এক নিশ্বাসেই আমরা এর প্রশংসার পর প্রশংসাই করতে থাকি। এর একটি কারণ হল ইন্টারনেট এবং মিডিয়ায় প্রোগ্রামিং সম্পর্কে থাকা অতিরঞ্জিত সব তথ্য। কিন্তু এরও রয়েছে খারাপ অনেক দিক।
 প্রোগ্রামিং বা অ্যাপ ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে একটু খবর পেয়েই একটা ছেলে বা মেয়ে যখন এর পেছনে ধুমধাম করে ছুটতে শুরু করে তখনই এটার খারাপ দিক প্রকাশিত হয়। পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে শুধুমাত্র প্রোগ্রামিং এর ভবিষ্যত অনেক উজ্জ্বল এটা শুনেই যে ছেলে বা মেয়েটা প্রোগ্রামিং এ ঝাপিয়ে পড়ে তার জন্য খবর খারাপই। 
প্রোগ্রামিং কোন সীমাবদ্ধ জ্ঞান নয়। ধামধুম প্রোগ্রামিং শিখে ফেলেই মাইক্রোসফট বা গুগলে চাকরি পেয়ে যাবে ভাবাটা অন্যায়। তোমাকে হতে হবে সেরা। হ্যাঁ প্রোগ্রামিং এর ভবিষ্যত অনেক ভাল। কিন্তু তুমি কেন প্রোগ্রামিং শিখবে? নিজেকে আগে প্রশ্নটা কর। যদি ভালবাসা না থাকে প্রোফ্রামিং এর প্রতি, প্লিজ এস না তুমি এই দুনিয়ায়। তুমি সেটা কর যেটার প্রতি তমার ভালবাসা আছে, যেটা করে তুমি শান্তি পাও। মনে রাখবে পৃথিবীর সকল ক্ষেত্রেরই ভবিষ্যত অনেক অনেক ভাল, শুধু তোমাকে হতে হবে সেরা, আবার কখনো সেরা হলেই চলে না হতে হয় সেরাদের সেরা। যাই হোক এসব আমার টিউনের বিষয় না। মূল কথা হল ট্রেন্ডের পেছনে ছুটো না। প্রযুক্তি দুনিয়ায় একটার পর একটা ট্রেন্ড আসতেই থাকবে এর পেছনে ছুটলে হবে না। বুঝে শোনে কাজ করতে হবে।

ধোঁকাবাজ কোন অ্যাপ সম্পর্কে শুনেছো কখনো? 
আমি শুনেছি, দেখেছিও। কিন্তু আগেই যেহেতু বলেছি এই টিউনটি কোন অ্যাপ সম্পর্কে না আই কোন অ্যাপ এর উল্লেখ করব না। তবুও বলছি শোন, Fitness App/Tracker গুলো এখন তো তুমুল জনপ্রিয়। স্বাস্থ্যের প্রতি লক্ষ্য রাখার জন্য আমরা অনেকেই এই ধরণের অ্যাপ ব্যবহার করে থাকি। এগুলো আমাদের দেহের নানা বিষয় সম্পর্কে তথ্য দিয়ে আমাদের প্রতি লক্ষ্য রাখে। একদম মায়ের মত যত্ন মনে হচ্ছে না? একদমই না মায়ের সাথে কোন তুলনা তো কখনই সম্ভবই না তার উপরে এই যত্নে থাকে যদি ভেজাল তখন কি করবে? অবাক হবে কি যদি বলি, ফিটনেস অ্যাপগুলো অনেক সময় মিথ্যা তথ্য দেয়। হ্যাঁ, মিথ্যা তথ্য দেয়ার একটি কারণ হল বিশ্বাস যোগ্যতা অর্জন করা। মিথ্যা বললে ধরে ফেলা সম্ভব, কিন্তু সত্যের কাছাকছি যে মিথ্যাগুলি সেগুলো ধরা অনেক কঠিন। এই অ্যাপগুলো তোমাকে সত্যের কাছাকাছি মিথ্যা তথ্য দিবে। ভাবছ কিভাবে? সাধারণ সুস্থ্য একজন মানুষের শারীরিক অবস্থা এবং একজন অসুস্থ্য মানুষের শারীরিক তথ্য তুমি একটু গুগল করলেই পেয়ে যাবে। এই অ্যাপগুলো স্বাভাবিক মানুষের সাথে তুলনা করে একটা রিপোর্ট প্রস্তুত করে, সেটা সত্যের কাছাকাছি হবার আরেকটি কারণ হল কিছু কিছু সেন্সরের মাধ্যমে হালকা কিছু সত্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে রিপোর্ট করা।( অবশ্যই আমি বলছিনা যে সব ফিটনেস অ্যাপ ভুয়া, আমি বলছি ভুয়াগুলো অনেক বেশি ক্ষতিকর)
এ তো গেল এক ধরণের অ্যাপের কথা এরকম আরো হাজারো ধোঁকাবাজ অ্যাপ আছে। একটু খেয়াল করলে নিজেও হয়ত একয়াত পেয়ে যেতে পারো। আছে নাকি তোমার জানাশোনা কোন ধোঁকাবাজ অ্যাপ? থাকলে জানাতে পারো কমেন্টে, সেখানে কোন নিষেধ নেই।


অনলাইন প্রাইভেসি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম

প্রাইভেসি মানে ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা। ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার সবারই আছে। যে কেউ চাইলে আরেকজনের কোন কিছু দেখতে পারে না। হোক সেটা কোন একটা ডায়েরী বা একটা খেলনা। তোমার কোন কিছু তুমি না চাইলে ধরার বা দেখার অধিকার নেই কারোরই।
 অনলাইনে ফেসবুকে বা টুইটারে তুমি কার সাথে কি মেসেজ করছ এই ধরণের স্পর্শকাতর কোন কিছু তোমার বিনা অনুমতিতে কেউ দেখলে সেটা হবে অপরাধ। আর কেউ যদি তোমার বিনা অনুমতিতে তোমার ছবি তুলে বা ভিডিও করে আপলোড করে তাহলে সেটা আরো বড় ধরণের অপরাধ। কিন্তু অনলাইনে এই ধরণের হয়রানী হচ্ছে অহরহ। এ সম্পর্কে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন নেই কেননা ইতিমধ্যেই এ সম্পর্কে অনেক কথাবার্তা হয়েছে এই ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমেই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেটা দেখা যায় কারো কোন ছবি নিয়ে তাকে সমানে ট্রল করা হয়। তাকে নিয়ে মেমে এবং কার্টুন বানানো হয়। এটা অনলাইন প্রাইভেসির সরাসরি লঙ্ঘন। তোমার অনুমতি ব্যাতীত তোমার কোন ছবি কেউ কোন কাজে ব্যবহার করতে পারবে না। সেটা তোমার নিজের মুখের ছবিই হোক কিংবা হোক তোমার তোলা কোন একটি ছবি। তাছাড়া কারো ছবি ইচ্ছাকৃত বিকৃত করে তাকে অসম্মান করাটা বড় ধরণের অপরাধ। 

প্রযুক্তি বা টেকনোলজির সবচেয়ে বড় ফল্ট হল কারো কাছে এর নিয়ন্ত্রন নেই। বিশেষ করে ইন্টারনেটের। যতই কড়াকড়ি আরোপ করা হোক না কেন কেউ যদি চায় তাহলে গোপনে থেকে এর খারাপ ব্যবহার করতেই পারে। আর তাই এ থেকে বাঁচার একমাত্র পথ হল নিজে ভাল হওয়া। আর সচেতনতা গড়ে তোলা। 


অনলাইন অফিস

গুগল প্রথম ওপেন অফিস বা অনলাইন অফিসের ধারণা সামনে নিয়ে আসে। এই ধারণা সামনে আসার সাথে সাথেই একটা কিকস্টার্ট পায়। অর্থাৎ অল্পদিনেই বিপুল জনপ্রিয়তা পায় ওপেন অফিসের থিমটি। কিন্তু এটা হতে পারে নি লম্বা রেসের ঘোড়া। কিক স্টার্ট পাওয়ার মতই হুট করেই মুখ থুবড়ে পরে ওপেন অফিস আইডিয়াটি। এর কারণ হিসেবে দায়ী করা যায় ফাঁকি দেয়ার সুযোগকে। স্বশরিরে যেহেতু হাজিরা দিতে হয় না তাই এখানে সুযোগ আছে দুর্নীতি করার। আর সুযোগ সন্ধানী কিছু মানুষ এর সম্পূর্ণ ব্যবহার করেছিল যার ফলে অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। 
কিন্তু তার মানে এটা নয় যে সব প্রতিষ্ঠানই ব্যার্থ হয়েছে ওপেন অফিস ধারনা নিয়ে, অনেক প্রতিষ্ঠান আছে এই ধরণের সার্ভিসে সফল হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বাংলা ভাষার সবচেয়ে জনপ্রিয় তথ্য ও প্রযুক্তি ব্লগ টেকটিউনসের কথা। 


প্রযুক্তির উদ্ভাবন হয় জিবনকে সহজ করার জন্য। যে কোন প্রযুক্তির পেছনেই মূল থিম থাকে মানুষের কাজে লাগা। কিন্তু আমরা এর ভুল ব্যবহার করে নিজেদের সহ অন্যান্য মানুষেরও ক্ষতি করছি। আমাদের অসচেতনতাই আমাদের সমস্যার জন্য দায়ী। সচেতন হতে হবে আমাদের। কেননা প্রযুক্তি বা টেকনোলজির সবচেয়ে বড় ফল্ট হল কারো কাছে এর নিয়ন্ত্রন নেই। বিশেষ করে ইন্টারনেটের। যতই কড়াকড়ি আরোপ করা হোক না কেন কেউ যদি চায় তাহলে গোপনে থেকে এর খারাপ ব্যবহার করতেই পারে। আর তাই এ থেকে বাঁচার একমাত্র পথ হল নিজে ভাল হওয়া। আর সচেতনতা গড়ে তোলা। 





























সৃজনশীলতার স্বরূপ বিশ্লেষণ; চ্যালেঞ্জ করছি আপনি এই পোস্টে দেয়া চ্যালেঞ্জটি পূর্ণ করতে পারবেন না!!!

সৃজনশীলতার স্বরূপ বিশ্লেষণ; চ্যালেঞ্জ করছি আপনি এই পোস্টে দেয়া চ্যালেঞ্জটি পূর্ণ করতে পারবেন না!!!

কোন মানুষ খুব ভাল করে নতুন নতুন ভাষা রপ্ত করতে পারে আবার কেউ খেলাধুলায় অনেক ভাল করে কেউ আবার ভাল গান গায় কিংবা কবিতা লেখে আরো কেউ হয়ত অসাধারণ ছবি আঁকে। এদের সবাই কি ইশ্বর প্রদত্ত ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়? না সবাই তো আর ট্যালেন্টেড হয় না। কিন্তু তারপরেও তারা জীবনে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছায়, সফলতার চুড়ায় আরোহণ করে। কিসের কারণে? কিসের ভিত্তিতে? শুধুমাত্র হার না মানা মানসিকতায় শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবার এবং নিজের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টার কারণে তারা তাদের স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখে, শুধু ছুয়েই দেখে না স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করে। সৃজনশীলতার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। সবাই সৃজনশীল ক্ষমতা নিয়ে জন্মায় না। কিন্তু কঠোর পরিশ্রম আর কখনই হার না মানা পণ নিয়ে চেষ্টা করে গেলে একসময় মস্তিষ্কের সৃজনশীলতার অংশ আর ঘুমিয়ে থাকতে পারে না। জেগে উঠে এবং সর্বোচ্চ ক্ষমতা নিয়ে জেগে উঠে।

মানুষের উপর ভিত্তি করে সৃজনশীলতা পরিমাপ করা কঠিন; কেননা এটা একটা বিস্তৃত ধারণা কিন্তু একই সাথে একটা গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা। আর যখন আমাদের মত ডিজাইনারদের ক্ষেত্রে এই সৃজনশীলতার ব্যাপারটি চলে আসে তখন সেটা হয়ে উঠে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সৃজনশীল চিন্তা এবং কর্ম ছাড়া কোন ডিজাইনারই সফল হতে পারবে না। কখনই না। সৃজনশীলতা যেহেতু নিজেই একতা দক্ষতা তাই এই দুইয়ের বিস্তৃত মিশ্রণেই তৈরি হয় বিশ্বকাপানো সব ডিজাইনগুলো। আর মনে রাখতে হবে যে কেউই সৃজনশীল হতে পারবে। যে কেউ। দরকার শুধুমাত্র কখনো পিছিয়ে না যাওয়া মনোভাব আর নিরলস পরিশ্রম।

আপনার সৃজনশীল ডিজাইনার মনকে কিভাবে উদ্দীপিত করবেন অথবা জাগাবেন? আমরা এই টিউনে এমন কিছু বিষয় নিয়েই আলোচনা করব। তো চলুন শুরু করা যাক।


সৃজনশীলতার চিত্রাঙ্কন

"Curiosity about life in all of its aspects, I think, is still the secret of great creative people" - Leo Burnett

প্নেক সময় কোন একটি সমস্যা সাধারণ উপায়ে কিংবা প্রচলিত উপায়ে সমাধান না করে সম্পূর্ণ নতুন কোন উপায়ে আরো ভালভাবে সমাধান করাটাই সৃজনশীলতার বড় একটা উদাহরণ হতে পারে। স্পষ্ট সৃজনশীলতার উদাহরণও দেখা যায়। যেমন, কোন একটি কোম্পানির জন্য লোগো তৈরি করে দেয়া একই কথা সমানভাবে রাজনীতি, পড়াশোনা, অর্থনীতি এবং বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

দুইটা শন্দ মনে রাখতে হবে অপ্রত্যাশিত এবং অসাধারণ। কোন ডিজাইনারকে যখন কোন ক্লায়েন্ট কাজ দেয় সে ক্লায়েন্ট আশা করে এমন কিছু পাওয়ার যা হবে ইউনিক এবং মনোমুগ্ধকর। ক্লায়েন্টকে এমন কিছু তৈরী করে দেয়া যেটা সে চিন্তাও করতে পারে নি এবং একই সাথে মনোমুগ্ধকর সেটাই একজন ক্লায়েন্টকে খুশি করতে যথেষ্ট। আর অপ্রত্যাশিত কিছু করার জন্যই লাগবে সৃজনশীলতা।

শতাব্দির পর শতাব্দি ধরে মানুষ সৃজনশীলতাকে বোঝার চেষ্টা করেছে। সভ্যতার গোড়ার দিকে মানুষ মনে করত সৃজনশীলতা অলৌকিক কিছু। তখন যারা সৃজনশীল কাজের সাথে যুক্ত ছিল তাদের ইশ্বরের কৃপাধন্য মনে করা হত। কিন্তু বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে আমরা বুঝেছি সৃজনশীলতা আসলে সবার মস্তিষ্কেই থাকে। আরো মস্তিষ্কে সচলাবস্থায়, কারো মস্তিষ্কে সুপ্তাবস্থায় আবার কারো মস্তিষ্কে অচলাবস্থায়। আর যে কারো পক্ষেই সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করা সম্ভব।


অনেক সাইকোলজিস্ট সৃজনশীলতা সম্পর্কে তাদের নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করেছেন। এদের মধ্যে একজন Sigmund Freud বিশ্বাস করতেন সৃজনশীলতা হচ্ছে সচেতন এবং অবেচেতন মনের টেনশনের ফলাফল; সম্পত্তি, শক্তি এবং ভালবাসা এর সাথে সম্পৃক্ত। আবার অনেকটা সময় ধরে সাইকোলজিস্টরা ভেবেছেন সৃজনশীলতা হল শুধুমাত্র শিল্পী এবং বিজ্ঞানীদের সম্পদ সাধারণ মানুষের এর সাথে কোন সম্পৃক্ততা নেই। সময়ের সাথে এই ধারণা পরিবর্তিত হয়েছে।

বিশ শতকের মাঝামাঝি সৃজনশীলতা নির্ণয়ে একটা টেস্ট করেন বিজ্ঞানীরা। সেই টেস্টে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের একটা বাথরুমে একটি মাত্র ইটের কি কি ব্যবহার হতে পারে সেটা লিখে লিস্ট করতে বলা হয়েছিল। টেস্টটির নাম ছিল unusual uses


ডিজাইনিং এ সৃজনশীলতা

আমরা ডিজাইনাররা আবশ্যিকভাবেই অনেক দিক দিয়ে সৃজনশীল। আমাদের সৃজনশীলতা স্পষ্ট এবং বাস্তব। আমাদের ওয়েবসাইট এর লেআউট তৈরি, কর্পোরেট আইডেন্টিটি অথবা গ্রাফিক্যাল কাজ করতে হয়। আমাদের প্রতি মুহূর্তের সঙ্গী হল সৃজনশীলতা।

"You can't wait for inspiration, you have to go after it with a club" - Jack London

এখন যখন সৃজনশীলতাকে একটি ধারাবাহিক উন্নতির প্রক্রিয়া হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এটা যে ব্যক্তিগত এবং সামাজিকভাবে উন্নত হয় সেটাও মেনে নেয়া হয়েছে তখন ডিজাইনিং এর ব্যাপারগুলো আরো স্পষ্ট হয়েছে। সৃজনশীল চিন্তন দক্ষতা সম্পন্ন একজন ব্যক্তির সামনে যে কোন সমস্যাই আসুক না কেন নিজের চিন্তাকে কাজে লাগিয়ে সে সেটা সফলভাবে মোকাবেলা বা সমাধান করতে পারবে। এবং যারা করতে পারবে না তাদেরও দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই যেহেতু সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটানো সম্ভব।

সৃজনশীলতার বিকাশের জন্য প্রথমেই সৃজনশীলতা সম্পর্কে আক্ষরিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এই পোস্ট পড়ে ইতিমধ্যেই সৃজনশীলতা সম্পর্কে আপনার কিছুটা জ্ঞান অর্জিত হয়েছে। তারপর জানতে হবে বিষয় কে। যে বিষয়ে সৃজনশীল উদ্ভাবনি কাজ করতে চান সেটা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আর একটার পর একটা সেই বিষয়ের কাজ করে যেতে হবে। যত সমস্যা আসবে নিজেই সেগুলো সমাধান করতে হবে।
এক্ষেত্রে আমাদের ডিজাইনিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। ইচ্ছামত ডিজাইনিং করতে হবে। দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সমস্যার মুখোমুখি হলে সেটার মোকাবেলা করতে হবে। কখনোই হার মানা যাবে না।

আর এই সব কিছুর আগে নিজের সৃজনশীলতার ব্যাপারে কিছু কাজ করতে হবে। আসুন জেনে নেই সেরকম কিছু কাজের কথা।

অবচেতন মনকে তৈরী করতে হবে

এটা ভুলবেন না আপনি কিন্তু আপনার প্রতিদিনের জীবনে এখনই সৃজনশীল। আপনি কিন্তু অনেক জটিল জটিল সব সমস্যার সহজ সমাধান করেছেন। আপনার কোন সমস্যা হয় নি। আপনার সৃজনশীল কাজের সময়েও আপনি পারবেন। কোন ধরণের চাপ নিবেন না। নিজের প্রতিদিনের জীবনের মতই যে ক্ষেত্রে সৃজনশীল হতে চান সে ক্ষেত্রটিকেও একদম সহজ ভাবে নিবেন। কাজ করার সময় সম্পূর্ণ মনযোগ দেবার চেষ্টা করবেন। এক সময়ে একটিই কাজ করবেন। এই সব কিছু আপনার অবচেতন মনের ক্ষমতা বাড়াবে।

আপনি পারবেন

মনে রাখবেন দুনিয়াতে এমন কিছু নেই যা আপনি পারবেন না। দুইটা কথা ভুলবেন না,

* সবকিছুই পারবেন।
* সবকিছুই করা যায়।
বিশ্বাস রাখবেন নিজের উপর। নিজের ক্ষমতার উপর।

ভেতরের বাচ্চাকে জাগিয়ে তুলুন

পৃথিবীর সবচেয়ে সৃজনশীল কারা জানেন? বাচ্চারা। তারা এক মিনিটেই চাঁদে পৌছে যাবার উপায় ভেবে ফেলে, আকাশে উড়ন্ত রিকশা একে ফেলে আরো কত কি! আপনি নিজেও ছোটবেলায় ছিলেন এরকম। ছিলেন না?
আপনার ছোটবেলার সেই বাচ্চা স্বভাবের অস্তিত্ব অনুভব করুন। সেখানে সেসময়ে ফিরে যান, তখনকার মত করে ভাবুন। আপনার সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে।


আপনার জন্য চ্যালেঞ্জ

আপনার জন্য আমার একটা চ্যালেঞ্জ আছে। আপনি কি চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত? মনে নেই, আপনি সবই পারবেন। কোন ভয় নেই। এই চ্যালেঞ্জেও আপনি সফল হবেন।

প্রতিদিন যখনই মাথায় কোন প্রশ্ন আসবে সেটা খাতায় লিখে রাখতে হবে। আর কোন চিন্তা বা আইডিয়া আসলে সেটা আঁকতে হবে আর্ট খাতায়। পাঁচ মিনিট অন্তত সেই লেখা বা আঁকার দিকে তাকিয়ে থাকবেন। তারপর পাঁচ মিনিট যা ইচ্ছা ভাববেন। এটাই আপনার চ্যালেঞ্জ।

উপরে আপনাকে চ্যালেঞ্জ করেছি আমি। আমি জানি আপনি পারবেন, আপনিও জানেন আপনি পারবেন।

                                                                   কি পারবেন না?




























ফটোশপ মাস্কিং এর ব্যাপারে যে দশটি তথ্য আপনার না জানলেই নয়।

ফটোশপ মাস্কিং এর ব্যাপারে যে দশটি তথ্য আপনার না জানলেই নয়।

ফটোশপ সম্পর্কে বলার কিছু নেই। ছবি বা ইমেজ এডিটিং এর কথা আসলে আমরা ফটোশপ ছাড়া আর কিছু দেখতে পাই না। এই ফটোশপের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফাংশন মাস্কিং। প্রফেশনাল এডিটিং এবং আরোন নানা কাজে এই মাস্কিং এর প্রয়োজন হয়। আজ আমরা কথা বল্ব এই মাস্কিং সম্পর্কে। মাস্কিং এর এমন ১০টি ফাংশনালিটি নিয়ে আলোচনা করব যা আপনার না জনলেই নয়। তো চলুন শুরু করা যাক।


১) সফট ট্রানজিশনের জন্য গ্রাডিয়েন্ট মাস্ক

মাস্কড ইমেজ এবং তার নিজের লেয়ারগুলোর জন্য সফট ট্রানজিশন তৈরীর জন্য পিক্সেল মাস্কের উপরে গ্রাডিয়েন্ট টুল ব্যবহার করতে পারবেন। গ্রাডিয়েন্ট মাস্কের সবচেয়ে ভাল ব্যাপার হল যে কোন সময় গ্রাডিয়েন্ট টুল ব্যবহার করে এর পরিবর্তন করা যাবে।


২) টেক্সটের সাথে ক্লিপিং মাস্ক

একটা লেয়ারকে আরেকটা লেয়ারের সাথে মাস্ক করার জন্য ক্লিপিং মাস্ক একটি কার্যকর উপায়। এটা আরো বেশি কার্যকর যখন আপনি কোন লেখা বা টেক্সটের ভেতর কোন ইমেজ দেখাতে চান। এটা করার জন্য ইচ্ছামত একটা তেক্সট লেয়ার তৈরী করে নিন আর তার উপরে সে ছবিটি এনে রাখুন যেটা টেক্সটের ভেতরে শো করাতে চান। তারপর alt চেপে রেখে দুই লেয়ারের মাঝখানে ক্লিক করুন। ক্লিপিং মাস্ক তৈরী করার পরেও ইচ্ছা করলে ইমেজ এবং টেক্সট নাড়াচড়া করানো যাবে।


৩) একের অধিক মাস্ক

আড় বেশি নিয়ন্ত্রনের জন্য আপনি ইচ্ছা করলে একের অধিক মাস্ক ক্রিয়েট করতে পারেন। হ্যাঁ, একই ইমেজে একই সাথে পিক্সেল মাস্ক এবং ভেক্টর মাস্ক তৈরী করা সম্ভব। জটিল কোন ইমেজ নিয়ে কাজ করার সময় খুব সূক্ষ্ম কোণা বা শেপ এর ক্ষেত্রে এটা খুবই কার্যকরী। জটিল ডিটেইলসের ইমেজের ক্ষেত্রে পিক্সেল মাস্ক এবং সূক্ষ্ম কোণা বিশিষ্ট ইমেজের জন্য ভেক্টর মাস্ক উপযোগী।


৪) যথাযথ কোণার জন্য ভেক্টর মাস্ক

আগেই যেমন বলা হয়েছে ভেক্টর মাস্ক সূক্ষ্ম কোণার জন্য উপযোগী, সেইসাথে ক্লিন এডজ এর জন্যেও এটা ব্যবহার করা ভালো। ভেক্টর মাস্কের জন্য পেন টুল দিয়ে আউটলাইন তৈরী করার সময় কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে-

*এঙ্কর পয়েন্ট যতটা সম্ভব কম রাখতে হবে।
*নতুন একর পয়েন্ট তোইরী করার সময় স্পেসবার চেপে রেখে তৈরী করতে হবে। এতে ফ্রী ভাবে এঙ্কর পয়েন্ট তৈরী করা যাবে।
*কোন এঙ্কর পয়েন্টকে স্মুথ বা কর্ণার পয়েন্ট বানানোর জন্য alt চেপে রেখে সেই এঙ্কর পয়েন্টের উপর ক্লিক করতে হবে।
*ctrl চেপে রেখে টেম্পোরারিলি ডাইরেক্ট সিলেকশন টুল হিসেবে এঙ্কর পয়রন্ট সরানো যাবে।


৫) পিক্সেল মাস্ক এবং কাস্টম ব্রাশ

পিক্সেল মাস্ক ব্যবহারের আরেকটি সুবিধা হল এখানে কাস্টম ব্রাশ এবং স্পেশাল ব্রাশ নিয়ে কাজ করা যাবে। অনলাইনে থাকা হাজারো ফ্রী ফটোশপ ব্রাশ ডাউনলোড করে এখানে ব্যবহার করা যাবে। 


৬) মাস্কের ডেনসিটি এবং ফেদারিং

পিক্সেল মাস্ক বা ভেক্টর মাস্ক তৈরীর পর ইচ্ছানুযায়ী Properties থেকে ডেনসিটি এবং ফেদারিং এডজাস্ট করে নেয়া যাবে মূল ইমেজের কোন সমস্যা করা ছাড়াই।


৭) এডজ রিফাইনমেন্টসের জন্য মাস্ক এডজ

জটিল কোন সিলেকশনের ক্ষেত্রে প্রোপার্টিস থেকে মাস্ক এডজ অপশন ব্যবহার করে এডজ বা কোণাগুলোর কোয়ালিটি ইম্প্রুভ করা সম্ভব। Smart Radius, Shift Edge এবং Decontaminate Color অপশন ব্যবহার করে সহজেই এটা করা সম্ভব।


৮) কুইক মাস্ক

কোন মাস্ক তোইরী করার পূর্ববর্তী ধাপ হল এই কুইক মাস্ক। কীবোর্ড থেকে Q প্রেস করে এটা চালু করা যাবে। কুইক মাস্কের ভেতরে ব্রাশ অথবা গ্রাডিয়েন্ট টুল দিয়ে সিলেকশন তৈরী করা যাবে। সিলেকশেনের ভেতরে থাকা ইমেজের অংশ আসল রঙে দেখা যাবে আর সিলেকশনের বাইরে থাকা অংশের উপর ৫০% অপাসিটির লাল রঙ থাকবে। সিলেকশন ঠিক থাকলে আবার Q প্রেস করে কুইক মাস্ক বন্ধ করে নিতে হবে। এখন সিলেকটেড জায়গার উপর পিক্সেল মাস্ক এপ্লাই করা যাবে।


৯) লক ট্রান্সপারেন্সি

লক ট্রান্সপারেন্সি অনেকটা ক্লিপিং মাস্ক তৈরীর মতই। কোন লেয়ারে যদি ট্রান্সপারেন্ট অংশ থাকে আর আপনি যদি লক ট্রান্সপারেন্সি অন করেন তাহলে লেয়ারের contours অথবা silhouette একই রকম থাকবে। কখনো পরিবর্তিত হবে না।


১০) কীবোর্ড শর্টকাট

ফটোশপে মাস্ক নিয়ে কাজ করার সময় এই কীবোর্ড শর্টকাটগুলো কাজে আসবে।

alt + left click মাস্ক থাম্বনেইলের উপর ক্লিক করে মাস্ক ভিউ চালু অথবা বন্ধ করা যাবে।
shift + left click মাস্ক থাম্বনেইলের উপর ক্লিক করে মাস্ক চালু অথবা বন্ধ করা যাবে।
shift + alt + left click কুইক মাস্ক ভিউ চালু অথবা বন্ধ করার জন্য।
ctrl + shift + alt + left click মাস্কের উপর ক্লিক করে নরুন মাস্ক এবং সিলেকশনের মাঝে ইন্টারসেকশন তৈরি করা যাবে।
ctrl + shift + left click মাস্কের উপর ক্লিক করে মাস্কের কোণাগুলোয় সিলেকশন তৈরী করা যাবে।


ফটোশপে কাজ করতে গিয়ে এই ব্যাপারগুলো যদি আপনার একটুও উপকারে আসে তাহলে এই টিউনটি সার্থক হবে। টিউনটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

কেমন লাগল জানাতে ভুলবেন না... আর কমেন্টে জানাতে পারেন যে কোন কিছু... 






















































আপনার টরেন্ট এক্টিভিটি গোপন রাখুন। থাকুন নিরাপদ।

আপনার টরেন্ট এক্টিভিটি গোপন রাখুন। থাকুন নিরাপদ।

টরেন্ট সাইটগুলো একসময় যে কোন ডাউনলোডের জন্য একসময় স্বর্গের মত ছিল। কিন্তু এখন আর সেই স্বর্গ নেই। আজকালকার দিনে হাজার হাজার মানুষ লেগে আছে আপনার ক্ষতি করার জন্য, তারা চেষ্টা করছে আপনার নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রন নিতে কিংবা আপনার উপর স্পাই গিরি করতে এবং সর্বোপরি আপনার তথ্য হ্যাক করতে। আর এটা কখনই জানা সম্ভব না যে কোটি কোটি ইউজারের মাঝে কে ভাল আর কে খারাপ। তাই আপনি যদি টরেন্ট ব্যবহারকারী হোন বিশেষ করে যদি বিটটরেন্ট ব্যবহারকারী হয়ে থাকলে আপনাকে অবশ্যই নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রশ্নটা যখন আসে বিটটরেন্টে বা টরেন্টে কিভাবে নিরাপদে থাকবেন তখন আমাদের সামনে অনেকগুলো পন্থা আছে নিরাপদ থাকার। এর মাঝে একটি হল নিজের আসল পরিচিতি লুকিয়ে রাখা। আসল আইপি এড্রেস, লোকেশন, আইএসপি এইসব যদি গোপন রাখা যায় তাহলে অনেকটাই নিরাপদ হয় আপনার টরেন্ট ব্যবহার।
এখন প্রশ্ন হল কিভাবে গোপনে রাখব আমার এইসকল তথ্য গুলো?
আপনার আসল তথ্যগুলো গোপন রাখতে ব্যবহার করতে পারেন প্রক্সি বা ভিপিএন। প্রক্সি বা ভিপিএন এর মাধ্যমে আপনি থাকতে পারবেন পর্দার অন্তরালে। Private Internet Access এবং ZenMate এর প্রদান করা ভিপিএন সেবাই সেরা। আমি আপনাকে ZenMate রিকমেন্ড করব। প্রাইভেট ইন্টারনেট এক্সেস এর প্রক্সি ভিপিএন সময়ের অন্যতম সেরা প্রক্সি ভিপিএন এবং বিটটরেন্টে আপনাকে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা প্রদান করতে সক্ষম, জেনমেইট আমার মতে সেরাদের সেরা ভিপিএন।


বিটরেন্টে প্রক্সি বা ভিপিএন কিভাবে কাজ করে? 

যখন আপনি বিটটরেন্ট থেকে কোন কিছু ডাউনলোড বা সীড করেন তখন আপনি আসলে একদল মানুষের সাথে একটি নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হচ্ছেন যাদের বলা হচ্ছে সোয়ার্ম(Swarm)। এই নেটওয়ার্কে থাকা প্রত্যেক ব্যক্তি আপনার আইপি এড্রেস দেখতে পারবে, আসলে তারা দেখতে বাধ্য নেটওয়ার্কে কানেক্ট হবার জন্য। শুধু এরাই নয় অবাক করার মত হলেও সত্যি অনেক পাইরেসি মনিটরিং গ্রুপের সদস্যও এই নেটওয়ার্কে কানেক্ট হয়। এদের মূলত কোন কোম্পানী টাকা দিয়ে ভাড়া করে থাকে পাইরেসি কারীদের চিহ্নিত করার জন্য। এরা সরাসরি আপনার আইএসপির তথ্য চেক করে, অনেক সময় আইএসপি কে তারা আপনাকে ব্যান করে দেয়ার জন্য জানায় যার ফলে পরবর্তিতে অনেক সমস্যা হতে পারে।

প্রাইভেট ইন্টারনেট এক্সেসের মত ভিপিএন বা প্রক্সি নেটওয়ার্ককে বাইপাস করে। আপনার আসল আইপি, লোকেশন এবং আইএসপি লুকিয়ে রাখে। এটা করে সার্ভার চেঞ্জ করে দিয়ে। আপনি যখন কোন প্রক্সি বা ভিপিএন এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন তখন আপনার ইন্টারনেট আসলে অন্য কোন সার্ভার থেকে বাইপাস হয়ে আসছে। আপনার কর্মকান্ডও অন্য কোন সার্ভার এর মাধ্যমে সম্পাদিত হচ্ছে। ফলে আসল আপনি থাকছেন পর্দার অন্তরালে। যার ফলে কোন এন্টি পাইরেসি গ্রুপ বা কোন কেউ আপনাকে হয়রানি করতে পারবে না। অনেকে ভাবতে পারে যদি ভিপিএন প্রোভাইডারের কাছ থেকে তথ্য হাতিয়ে নেয় তাহলে কি হবে? কিন্তু জেনে খুশি হবেন যে কোন ভাল ভিপিএন সার্ভিস বা প্রক্সি সার্ভিস কোন লগ রাখে না। ফলে কোন সমস্যা নেই।

আপনি যদি ভিপিএন বা প্রক্সি সার্ভিস ব্যবহার করতে থাকেন তাহলেয়াপনার কর্মকান্ডের কোন রেকর্ড কারো কাছে থাকে না। এমনকি আপনার আইএসপিও আপনার কর্মকান্ড দেখতে পাবে না। কিন্তু আছে কিছু প্রতিবন্ধকতাও,

১) সেরা ভিপিএন সার্ভিসগুলো ফ্রী নয়।
 প্রাইভেট ইন্টারনেট এক্সেস এর কোন ফ্রি ভার্সন নেই। এর মাসিক চার্জ প্রায় ৭ ডলার এবং বাৎসরিক চার্জ প্রায় ৪০ ডলার। কিন্তু জেনমেইট ভিপিএন সম্পূর্ণ ফ্রী আপনি আজীবন ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি ইচ্ছা করলে টাকা দিয়ে প্রিমিয়াম ভার্সনও কিনে নিতে পারেন সেটা সম্পূর্ণ আপনার ব্যাপার। কেননা ফ্রী এবং প্রিমিয়াম ভার্সনে সিকিউরিটি লেভেল একই রকম হাই, পার্থক্য শুধু আপনি ইচ্ছামত অনেক বেশি দেশের মধ্যে থেকে যে কোন একটি দেশের সার্ভারের মাধ্যমে সংযুক্ত হতে পারবেন প্রিয়াম ভার্সনে যেটা ফ্রীতে নেই। এবং প্রথম ডাউনলোডের পর আপনি পাবেন ১৫দিনের ফ্রি প্রিমিয়াম সার্ভিস।

২) ডাউনলোড স্পীড এবং ব্রাউজিং স্পীড কম পাওয়া।
এটা সবাইই জানে যে ভিপিএন বা প্রক্সি ব্যবহার করলে স্পীড কমে যায়। সেটা টরেন্টেই হোক আর যেখানেই হোক। এর কারণ হল আপনার ইন্টারনেট মধ্যবর্তী আরেকটি সার্ভারের মাধ্যমে আসছে। সরাসরি আসছে না। তবে জেনমেইট এ স্পীড কমার হার একদম কম। আপনি প্রায় একই রকম স্পীডই পাবেন।

৩) সব বিটটরেন্ট ক্লায়েন্ট ভিপিএন বা প্রক্সি সাপোর্ট করে না
উইন্ডোসে uTorrent ঠিক্টহাকমত কাজ করলেও ম্যাক এবং লিনাক্সে সেটা সাপোর্টেড নয়।


Private Internet Access কিভাবে ইন্সটল করবেন? 

প্রাইভেট ইন্টারনেট এক্সেস ডাউনলোডের জন্য প্রথমে আপনাকে তাদের ওয়েবসাইটে সাইন আপ করতে হবে। সাইন আপ করার পরে মেইলে আপনার ইউজারনেম আর পাসওয়ার্ড পেয়ে যাবেন। পরবর্তীতে আপনি ইউজারনেম আর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে পারবেন। লগিন অবস্থায় Client Control Panel এ এ গিয়ে PPTP/L2TP/SOCKS Password এর নিচে Generate Password এ ক্লিক করুন। এখানে যে পাসওয়ার্ড আর ইউজারনেম পাবেন সেটা লিখে রাখুন। 

এরপর uTorrent ওপেন করুন। Options > Preferences > Connection এ গিয়ে Proxy Server এর নিচে Type এ Socks5 সিলেক্ট করুন। আর নিচের মত করে ঘরগুলো পূরন করুন।
  • Proxy Type: Socks5
  • Proxy Host: proxy-nl.privateinternetaccess.com
  • Proxy Port: 1080
  • Username: Your Private Internet Access Proxy username (লিখে রাখা রয়েছে যেটা)
  • Password: Your Private Internet Access Proxy password (লিখে রাখা রয়েছে যেটা)

Proxy এবং Proxy Service ঘরে টিক চিহ্ন দিয়ে বেরিয়ে আসুন।

ZenMate কিভাবে ইন্সটল করবেন?

জেনমেইট ইন্সটল করা একদম সহজ। সরাসরি তাদের সাইট থেকে জেনমেইট ডাউনলোড করে নিলেই সেটা এক্সটেনশন হিসেবে আপনার ব্রাউজারে এড হয়ে যাবে।


আপনি ইচ্ছা করলে চেক করে দেখতে পারেন সবকিছু ঠিকঠাকমত কাজ করছে কিনা। এ জন্যে চলে যান এই সাইটটিতে যদি সাইটটি আপনার আসল আইপি এবং আইএসপি না ধরতে পারে তাহলে আপনি নিরাপদ আছেন।

       টিউনটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে করতে ভুলবেন না। যে কো মতামত জানান।

                                          সতর্ক থাকুন, সতর্কতাই আপনার সেরা নিরাপত্তা
 





















নিজের ভাষায় চালান লিনাক্স কমান্ড

নিজের ভাষায় চালান লিনাক্স কমান্ড

লিনাক্স টার্মিনাল একটা জটিল সিস্টেম হতে পারে কিন্তু Siri এর মত কিছু সফটওয়্যার ব্যবহার করে একে সহজবোধ্য করা সম্ভব। অনেকেই হয়ত গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেস থাকতে টার্মিনাল এ কে যাবেন সেটা ভাবছেন, এখানে মনে রাখতে হবে গ্রাফিক্যাল ভার্সনের থেকে টার্মিনাল ভার্সনে অবশ্যই কিছু সুবিধা আছে। টার্মিনাল ভার্সনে এমন অনেক কিছু করা যায় যা গ্রাফিক্যাল ভার্সনে বা ইন্টারফেসে করা সম্ভব না- তাছাড়া কমান্ড লিখে এতসব কাজ করার মাঝে অন্যধরণের একটা মজা আছে প্রোগ্রামারদের জন্য যেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

টার্মিনাল ইন্টারফেসের সাথে পরিচিত হওয়া মুখের কথা না। কিন্তু Betty ব্যবহার করে টার্মিনাল ইন্টারফেস ব্যবহার করা পানির মতই তরল। Betty একটা লিনাক্স টুল যেটা কিনা প্লেইন ইংলিশ টেক্সট কে লিনাক্স লিনাক্স টার্মিনাল কমান্ডের পরিবর্তিত করে। মূলত এটা Siri কিংবা Google Now এর মত লিনাক্স টার্মিনালে কাজ করার একটা টুল।

Betty সফটওয়্যারটির ডেভেলাপমেন্টের পেছনে ছিল সকল ইউজারকে সহজ ভাবে লিনাক্স টার্মিনাল ব্যতবহারের সুযোগ করে দেয়ার চিন্তা। সাধারণ কথ্য ভাষা বা লেখ্য ভাষা ব্যবহার করেই টার্মিনাল চালানোর ব্যবস্থা করে দেয়া। আজকের টিউনের বিষয় কিভাবে এই Betty লিনাক্স টার্মিনালে ইন্সটল এবং ব্যবহার করবেন। তো চলুন শুরু করা যাক।


ইন্সটলেশন

আমরা যেহেতু Betty এখনো ইন্সটল করি নি তাই এটা ইন্সটল করার সময় আমাদের অবশ্যই লিনাক্স টার্মিনাল কমান্ড ব্যবহার করতে হবে। ভয় পাবার কিছু নেই। কমান্ডগুলো টিউনে দেয়া আছে। আপনি শুধুমাত্র এই কমান্ডগুলো রান করাবেন এবং সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করবেন।

প্রথমেই আপনাকে Ruby, Curl and Git ইন্সটল করতে হবে। টার্মিনালে নিচের কোডগুলো টাইপ করে রান করান (ইতিমধ্যেই যদি এটা ইন্সটল করা থাকে তাহলে আর করতে হবে না)।

$ sudo apt-get install ruby curl

$ sudo apt-get install git

তো এখন Ruby, Curl and Git ইন্সটল করে কিছু সেটিংস করে নিতে হবে সহজ ব্যবহারের জন্য। এটা ধরে নিবে আপনার হোম ফোল্ডারে Betty ইন্সটলড হয়েছে। নিচের মত কোড লিখুন,

$ cd ~ && git clone https://github.com/pickhardt/betty
$ echo "alias betty=\"~/betty/main.rb\"" >> ~/.bashrc
$ source ~/.bashrc

যদি আপনার উবুন্টু পুরনো ভার্সনের হয় তাহলে Betty কমান্ড চালানোর সময় Ruby, Curl and Git টুলটির কোন ধরণের যন্ত্রনা থেকে বাঁচতে টুলটিকে 1.3.1 ভার্সনে আপডেট করে নিতে হবে। আপডেট করার জন্য নিচের মত কোড লিখুন,

$ sudo apt-get install ruby1.9.1
$ sudo update-alternatives –config ruby

দ্বিতীয় কমান্ড রান করার সাথে সাথেই একতা পপআপ আসবে যেখানে জিজ্ঞেস করবে Ruby এর ভার্সন সিলেক্ট করতে। সেখান থেকে 1.3.1 সিলেক্ট করতে হবে। এর জন্য সিলেকশন নাম্বার লিখে Enter চাপলেই হবে।

ইন্সটল হয়ে গেছে Betty।


Betty এর ব্যবহার

ইন্সটলেশন শেষ হয়ে গেলে আপনি Betty ব্যবহার শুরু করে দিতে পারেন। GitHub এর অফিসিয়াল পেজে অনেক কমান্ড আছে চাইলে সেটা দেখে নিতে পারেন, আর ডেভেলাপমেন্ট প্রসেসের অংশ হিসেবে প্রতিনিয়ত নানা কমান্ড এড করা হচ্ছে।

Betty ব্যবহার করা খুবই সহজ। আমরা কিছু বেসিক কমান্ডের কাজ দেখে নেই।

Time and Date

সময় এবং তারিখ দেখার জন্য সিম্পলি Betty What time is it বা Betty what is the date লিখলেই হবে। 

Username and Ip

Betty কিছু বেসিক ইনফরমেশনও কালেক্ট করতে পারে। এর মাঝে আছে ইউজারনেম এবং আইপি এড্রেস। একই নেটওয়ার্কের যে কারো আইপি আর ইউজারনেম বের করতে পারে এটি। হ্যাকিং এ মানুষ কি সাধে লিনাক্স ব্যবহার করে!!😉😉

Betty এর সাহায্যে ফাইল কম্প্রেস বা ডিকম্প্রেস করা সম্ভব।

Betty এর আছে Web Mode যাতে করে আপনি ইন্টারনেট কুয়েরি এক্সিকিউট করার সুযোগ পাবেন। এর মাঝে আবহাওয়ার খবর নেয়া, অনুবাদ করা কোন কিছু দেখা বা খুঁজে বের করাও আছে।

এখানে শুধুমাত্র কয়েকটি বেসিক কমান্ডের কথা বলা হয়েছে। Betty করতে পারে এমন আরো হাজারো কাজ আছে। যেগুলো কিছুটা বুঝতে হলে GitHub এর সাইটের কমান্ডগুলোর দিকে একটু তাকালেই হবে।
আর Betty সবসময় ন্যাচারাল ল্যাংগুয়েজ বুঝার চেষ্টা করে। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে একটা কথা বলারই অনেক পদ্ধতি আছে। একটা কথাই অনেকভাবে বলা যায়।

কিভাবে কি নির্দেশ দিলে কি হয় সেটা খুঁজে বের করার দায়ীত্ব আপনার।


পরিশেষ

লিনাক্স টার্মিনাল ব্যবহার করছে বা করতে চায় এমন যে কারো জন্য Betty খুবই উপকারী একটি টুল। একই সাথে প্রোগ্রামিং শেখা আর ন্যাচারাল ল্যাংগুয়েজ দিয়ে প্রোগ্রাম কমান্ড দিয়ে কাজ চালিয়ে নেয়ার জন্য এটি খুবই কার্যকর।

লিনাক্স টার্মিনাল কমান্ড শিখছে এমন কারো জন্যও Betty উপকারী। কারণ এর সাহায্যে ন্যাচারাল ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ দিয়েই কমান্ড দেয়া সম্ভব এবং লিনাক্স ল্যাঙ্গুয়েজে সেটার আউটপুট দেখা সম্ভব।

যদিও এখনো এর ভান্ডার অনেক কম কিন্তু আশা করা যায় এটি দ্রুত আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে।
















































কম্পিউটার স্লো?? রকেট ফাস্ট করে নিন আপনার ল্যাপটপ/ডেস্কটপ (পিসি ইউজার হলে টিউনটি না দেখে স্ক্রল করে যাবেন না)

কম্পিউটার স্লো?? রকেট ফাস্ট করে নিন আপনার ল্যাপটপ/ডেস্কটপ (পিসি ইউজার হলে টিউনটি না দেখে স্ক্রল করে যাবেন না)

কম্পিউটার কেন স্লো হয়?

কম্পিউটারের মূল অংশগুলোকে আমরা চারটি ভাগে ভাগ করতে পারি; ১)ইনপুট, ২)মেমোরি, ৩)প্রসেসিং, ৪)আউটপুট। দুনিয়ায় যত রকম কম্পিউটার আছে তার সবগুলোর কাজের মূলনীতিও এটা। প্রথমে কোন একটি কাজের নির্দেশ(ইনপুট) দিতে হয়। কম্পিউটার সেটা মেমোরিতে(সাময়িক ভাবে জমা রাখার মেমোরিকে 'র‍্যাম' বলা হয়) সাময়িক ভাবে জমা রাখে রাখে, কাজটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তথ্যটি মেমোরিতে জমা থাকে। মেমোরি থেকে সেই তথ্যনুযায়ী প্রসেসিং বা কার্য সম্পাদন হয়(প্রসেসর নামক যন্ত্রটি মূলত এই কাজ করে থাকে)। তারপর কাজের ফলাফল বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়(আউটপুট)।

কম্পিউটারের স্পিড স্বাভাবিকভাবেই নির্ভর করে থাকে র‍্যাম আর প্রসেসরের উপর। র‍্যাম আর প্রসেসর যত ভাল আর উন্নত হবে কম্পিউটারের স্পিড এবং পারফর্মেন্স তত ভাল হবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে র‍্যাম আর প্রসেসর দুইটিই হার্ডওয়্যার। অর্থাৎ আপগ্রেড করতে চাইলে নতুন র‍্যাম কিংবা প্রসেসর না কিনে উপায় নেই।

আসলেই কি উপায় নেই?
আছে, উপায় আছে। র‍্যাম আর প্রসেসর নতুন না কিনেই পারফর্মেন্স বাড়িয়ে নেয়ার উপায় আছে। র‍্যামের ক্ষেত্রে আছে অনেক রাস্তা(র‍্যাম সম্পর্কে আমরা পরে আলোচনা করব) কিন্তু প্রসেসরের পারফর্মেন্স বাড়িয়ে নেবার রাস্তা আমার জানামতে একটিই। ওভারক্লকিং। হ্যাঁ ওভারক্লকিং করে বাড়িয়ে নেয়া যায় প্রসেসরের পারফর্মেন্স। কিন্তু পদ্ধতিটা অনেক ঝুকিপূর্ণ। ঠিকমত করতে না পারলে প্রসেসর ওভার হিট হয়ে জ্বলে যাওয়া কিংবা পুরো সিস্টেম জ্বলে যাওয়াও অপ্রত্যাশিত কিছু না। আর এছাড়া ওভারক্লকিং করলে গ্যারান্টি/ওয়ারেন্টি চলে যাওয়া তো আছেই। 

এখন প্রসেসর আর র‍্যামের মাঝে স্লো হয় কোনটি? অবশ্যই র‍্যাম। বিভিন্ন কারণে র‍্যাম স্লো হয়ে কম্পিউটারের স্পিড কমিয়ে দেয়, পারফর্মেন্সে বিগ্ন ঘটায়। আর তাই কম্পিউটার স্লো হওয়ার একটি কারণ হল এই র‍্যাম।

র‍্যাম কেন স্লো হয়?

আগেই বলা হয়েছে র‍্যাম হল এমন একটা মেমোরি সকল নির্দেশ যেখানে সাময়িক ভাবে জমা থাকে। র‍্যামে কোন একটি নির্দেশ ততক্ষণ পর্যন্ত জমা থাকে যতক্ষণ না পর্যন্ত নির্দেশটি সঠিকভাবে পালিত হয়ে ফলাফল দেয়া হচ্ছে। কোন একটি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলে সেই প্রক্রিয়া সম্পর্কিত সকল তথ্য অটোম্যাটিকভাবে র‍্যাম থেকে মুছে যাওয়ার কথা। কিন্তু, কোন একটি প্রক্রিয়া বা প্রসেস শেষ হয়ে যাবার পরেও তার সকল তথ্য ও সাহায্যকারী তথ্য র‍্যাম থেকে মুছে যায় না। কিছু কিছু তথ্য র‍্যামে জমা হতে থাকে। এছাড়াও কোন একটি কম্পিউটার যখন অন থাকে তখন সারাক্ষণ ব্যাকগ্রাউন্ডে নানা সফটওয়্যার এবং প্রসেস চলতে থাকে, এইসব সফটওয়্যার এবং প্রসেসের অনেক টেম্পোরারি এবং জাংক ফাইল র‍্যমের মেমোরি থেকে মুছে না গিয়ে জমা হয়ে থাকে। এর ফলে র‍্যামের মেমোরি স্পেস কমে যায়। ফলে র‍্যাম একসাথে আগের মত বেশি তথ্য প্রক্রিয়া করতে পারে না। এইজন্যে দেখা যায় নতুন কম্পিউটারের স্পিড প্রথমে বেশি থাকে পরে ধীরে ধীরে কমে যায়। এছারা র‍্যাম স্লো হবার আরো অনেক কারণ আছে। যত দিন যাচ্ছে প্রযুক্তি দুনিয়া ততই আপডেট হচ্ছে। নতুন নতুন সফটওয়্যার এবং পুরনো সফটওয়্যারের নতুন আপডেট আসছে। কিন্তু আমাদের কম্পিউটার আপডেট করছিনা আমরা। আগের র‍্যাম এবং আগের র‍্যাম মেমোরিই রয়ে যাচ্ছে। কিন্তু নতুন সফটওয়্যারগুলো অনেক বেশি র‍্যাম ব্যবহার করে কাজ করতে গিয়ে। সেক্ষেত্রে দেখা যায় র‍্যাম মেমোরি বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে ফলে স্পিড কমে যাচ্ছে। আবার একসাথে অনেকগুলো সফটওয়্যার কিংবা প্রোগ্রাম চালালে র‍্যাম মেমোরি কমে গিয়ে র‍্যাম স্লো হয়ে যায়।

এর বাইরে র‍্যাম স্লো হবার অনেক বড় একটা কারণ হল ব্যবহারযোগ্য র‍্যামের পরিমাণ কম থাকা। অনেক সময় দেখা যায়, র‍্যাম ইন্সটল করা আছে ৮জিবি কিন্তু ইউজেবল বা ব্যবহারযোগ্য র‍্যাম দেখাচ্ছে মাত্র ৫জিবি কি ৬জিবি। এখানে অনেকটা র‍্যাম অব্যবহৃত থাকে। এর ফলে মাত্র কিছুটা র‍্যাম সিস্টেম ব্যবহার করতে পারে বলে সিস্টেম স্লো হয়ে যায়।

র‍্যাম এর বাইরেও কম্পিউটার স্লো হবার অনেক কারণ আছে। এর মাঝে অন্যতম একটি হল সিস্টেম সমস্যা। আমরা কম্পিউটারে অনেক কাজ করে থাকি। অনেক ধরণের সফটওয়্যার ইন্সটল করি আবার আনইন্সটল করে দেই। অনেক কিছু ডাউনলোড করি। এই সব কিছু করতে গিয়ে মাঝে মাঝে সিস্টেম ঠিকমত কাজ করে না। এর কারণ হল সিস্টেমের সমস্যা। আমাদের আনইন্সটল করা সফটওয়্যারের কিছু রেখে যাওয়া রেজিস্ট্রি সিস্টেমে সমস্যা সৃষ্টি করে। রেজিস্ট্রিতে থাকা আনইন্সটল করে দেয়া সফটওয়্যারের রেজিস্ট্রি ফাইল কম্পিউটারকে স্লো করে দেয়। আবার কখনো থাকে শর্টকাট সমস্যা। আনইন্সটল করা সফটওয়্যারটির ডেস্কটপ শর্টকাট থাকলে সেটা অনেকসময় ডিলেট হয় না। এটা সিস্টেমে সমস্যা তৈরি করে। ডাউনলোড করা কোন কিছুর ক্ষেত্রেও এমন হতে পারে যার ফলে সিস্টেমে সমস্যা হয় এবং পরবর্তীতে কম্পিউটার স্লো হয়ে যায়।

কম্পিউটার স্লো হবার আরও একটি কারণ হল ব্যাকডেটেড ড্রাইভার। একটা কম্পিউটারে অনেকরকম হার্ডওয়্যার থাকে। এই হার্ডওয়্যারগুলো সিস্টেমে চালানোর জন্য লাগে ড্রাইভার। গাড়ির ড্রাইভার যেমন গাড়ি চালায় তেমনি হার্ডওয়্যারের ড্রাইভার হার্ডওয়্যার চালায়। ড্রাইভার মূলত হার্ডওয়্যারের সাথে অপারেটিং সিস্টেমের সেতুবন্ধন। অপারেটিং সিস্টেমকে হার্ডওয়্যার নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা দেয় ড্রাইভার। আর অপারেটিং সিস্টেমের নির্দেশ অনুযায়ী(পরোক্ষভাবে কম্পিউটার অপারেটরের নির্দেশনানুযায়ী) কোন হার্ডওয়্যারকে কখন কি করতে হবে সেটা ড্রাইভার ঠিক করে দেয়। এই ড্রাইভার তাই সিস্টেমের ঠিকঠাক কাজ করার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় ড্রাইভার এর ভার্সন অনেক বেশি পুরনো হলে সেগুলো ঠিকমত অপারেটিং সিস্টেমের সাথে কাজ করে যেতে পারে না। নির্দেশ হার্ডওয়্যার পর্যন্ত পৌছাতে দেরী করে। ফলে কম্পিউটার স্লো হয়ে যায়।

কম্পিউটার স্লো হবার আরেকটি কারণ হল হার্ডডিস্কে সমস্যা এবং হার্ডডিস্ক ৯০% এর বেশি পূর্ণ হয়ে যাওয়া। হার্ডডিস্ক হলে কম্পিউটারের মস্তিষ্কের মত। মস্তিষ্কে কোন সমস্যা হলে যেমন কোন মানুষ পাগল হয়ে যায় তেমনি হার্ডডিস্কে কোন সমস্যা হলে কম্পিউটার স্লো হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে একেবারে নষ্ট হয়ে যাওয়াও অবাক হওয়ার মত কিছু না। আর হার্ডডিস্ক ছাড়াও C ড্রাইভ কিংবা যেখানে উইন্ডোস ইন্সটল করা আছে সেই ড্রাইভে জায়গা কম থাকলে কম্পিউটার স্লো হয়ে যায়।

ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার এর এট্যাক। ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার সবসময়ই আমাদের কাছে ভয়ের শব্দ। আমরা ভাবি ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার এট্যাক করলেই বোধহয় কম্পিউটার নষ্ট হয়ে যাবে, আর অন করা যাবে না কিংবা বারবার রিস্টার্ট নিবে, ডাটা চুরি করে নেবে, র‍্যানসামওয়্যার সব ডাটা আটকে দিবে!! হ্যাঁ, এগুলো সত্যি। কিন্তু সব ভাইরাস আর ম্যালওয়্যার তো আর একরকম না। কোন ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার আছে শুধুমাত্র মেসেজ শো করাবে, কোনটা আবার অযথা ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইটে ঢুকে পরবে, কোনটা সিস্টেমে সমস্যা করবে। আর কমক্ষতিকারক এই ম্যালওয়্যারগুলোর আক্রমণ আপনি সহজে ধরতে পারবেন না। কিন্তু এগুলোর ফলে আপনার কম্পিউটার স্লো হয়ে যাবে।


কিভাবে কম্পিউটারকে রকেট ফাস্ট করবেন?

এতক্ষণ তো কম্পিউটার কেন স্লো হয় তা নিয়ে অনেক আলোচনা করলাম, এর মধ্যে অনেকে হয়ত রেগে গিয়েছেন, কেউবা আবার আমাকে গালি দিচ্ছেন যে কম্পিউটারকে রকেট ফাস্ট করার কথা বলে এনে এসব কি শুরু করলাম আমি??!! কিন্তু কথা হল কম্পিউটার স্লো হয়ে যাওয়া তো একটা সমস্যা আর রকেট ফাস্ট করা হল তার সমাধান। এখন, কোন একটি সমস্যা না জেনেই কি তা সমাধান করা যায়? অবশ্যই না। আর তাই প্রথমে আমরা কম্পিউটার স্লো হবার কারণগুলো জেনেছি আর এখন এর প্রতিকার সম্পর্কে জানব। ধারাবাহিকতা রক্ষা করেই আমরা সমাধান জেনে নেবো।

র‍্যামে টেম্পোরারি তথ্যগুলো মুছে না গিয়ে জমা হয়ে থাকার কারণেই মূলত র‍্যাম মেমোরি কমে যায় এবং র‍্যাম স্লো হয়ে যায়। তো এটা থেকে বাঁচার উপায় কি?
সাধারণ যুক্তিতেই বুঝা যায় এই ফাইলগুলো ডিলেট করে দিলেই র‍্যাম মেমোরি মুক্ত করা সম্ভব আর স্পিড বাড়ানো সম্ভব। কিন্তু কিভাবে ডিলেট করবেন? ইন্টারনেট ঘাটলে দেখবেন ম্যানুয়ালি এই ফাইলগুলো ডিলেট করা কতটা ঝামেলার!! একবার রান মেনু থেকে এটা টাইপ করে এখানে যাও আরেকবার ওখানে যাও আরো কত কী!!! আমি সাজেস্ট করব সফটওয়্যার ব্যবহার করতে।

এখানে কিছু কথা বলে নেই, আপনি র‍্যাম সমস্যার সমাধান করতে একটা সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন, তারপর রেজিস্ট্রি সমস্যার সমাধান করতে আরেকটি সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন, ড্রাইভার আপডেট করার জন্য আরেকটি সফটওয়্যার(ম্যানুয়ালি আপডেত করার কথা স্বপ্নেও ভাববেন না, মাথা ঘুরে যাবে), শর্টকাট এবং সিস্টেম ঠিক করার আর সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন(ম্যানুয়ালি করতে গেলে মাথা ঘুরে যাবে ভাই); তাহলে তো সফটওয়্যারের বাজার বানিয়ে ফেলবেন আপনার কম্পিউটারকে। তখন আবার অনেক সফটওয়্যারের কারণে কম্পিউটার সেই স্লো ই হয়ে যাবে। এমনকি আগের চেয়েও স্লো হয়ে যেতে পারে।

কিন্তু যদি এক সফটওয়্যার দিয়েই এই সবকিছু করতে পারেন তাহলে কেমন হয়। অবশ্যই অবিশ্বাস্য এবং অসাধারণ। আমার মতে এবং বিভিন্ন সাইটের রিভিউ অনুসারে বর্ণিত সব্ধরণের সমস্যার জন্য সেরা সফটওয়্যার হল IOBit এর Advance System Care। এর ফ্রি এবং প্রো দুটি ভার্সন রয়েছে। প্রো ভার্সনের দাম প্রায় ৬০ডলার

শুধুমাত্র এই একটি সফটওয়্যার দিয়েই আপনি র‍্যাম এর সকল সমস্যা, রেজিস্ট্রি, শর্টকাট এবং সিস্টেম সমস্যা, জাংক ফাইলস, টেম্পোরারি ফাইল এর মত সব সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। আর আপনার কম্পিউটারকে করে নিতে পারবেন রকেট ফাস্ট। কিন্তু আপনার যদি সফটওয়্যার মেথড ভাল না লাগে তাহলে ম্যানুয়ালিই করে নিতে হবে সব কিছু, এর জন্য ইন্টারনেটে একটু ঘাটাঘাটি করবেন দয়া করে আমি সাহায্য করতে পারছিনা বলে দুঃখিত।

ইউজেবল র‍্যাম যদি কম থাকে তাহলে কি করবেন। ইউজেবল র‍্যাম যদি কোন কারণে কম থাকে তবে সেটা ঠিক করে নেয়ার পদ্ধতি আছে। কিন্তু এখানে লিখলে টিউটোরিয়াল যে কত বড় হয়ে যাবে সেটা চিন্তাও করতে চাচ্ছি না। আপনারা নিচের ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন।


মনে রাখবেন হার্ডডিস্কের অবশ্যই ৯০% এর ফুল করবেন না। আর বিশেষ করে C ড্রাইভ বা আপনি যে ড্রাইভে উইন্ডোস ইন্সটল করেছেন সেখানে সবসময় কমপক্ষে ১০জিবি ফাকা রাখবেন। তা না হলে আপনার কম্পিউটার স্লো হয়ে যাবে এমনিতেই কোন সমস্যা ছাড়া।

ভাইরাস বা ম্যালওয়্যারের হাত থেকে বাঁচতে সবসময় এন্টিভাইরাস এবং এন্টিম্যালওয়্যার ব্যবহার করুন। কোন কারণে কেউ যদি এন্টি ভাইরাস ব্যবহার না করতে চান তাহলে কোন একটা এন্টি ম্যালওয়্যার ইঞ্জিন অবশ্যই ব্যবহার করবেন।

আপনার যদি ডেস্কটপ হয় তবে অবশ্যই সপ্তাহে একদিন করে পরিষ্কার করুন। আর ল্যাপটপ হলে মাসে অন্তত একবার সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে পরিষ্কার করিয়ে নিয়ে আসুন কিন্তু আপনি নিজে পারলে তো কথাই নেই।









































































In App Purchases কি এবং কিভাবে বন্ধ করবেন?

In App Purchases কি এবং কিভাবে বন্ধ করবেন?

যদি আপনার ফোনে আপনার ব্যাংক একাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ড সংযুক্ত বা সিঙ্ক্রোনাইজ করা থাকে এবং আপনি হটাৎ একদিন দেখেন আপনার কার্ড থেকে ১০ ডলার উধাও তাহলে আপনি কি ভাববেন? কেউ আপনার কার্ড চুরি করে নিয়েছে কিংবা আপনার একাউন্টের সকল তথ্য পেয়ে গেছে? হতে পারে এর কোন একটি সত্যি কিন্তু যদি একটিও সত্যি না হয়??!!
আপনার টাকা কোথায় গেল? হ্যাঁ, কেউ ভুল করে বা ইচ্ছে করে আপনার ফোনে কোন এপ বা কোন এপের ভেতরে কিছু কিনেছে। আর আপনার বাসায় যদি ছোট কেউ থাকে কিংবা গেম পাগল কোন বাচ্চা বা কেউ থাকে তাহলে তো কথাই নেই... তাদের ভুলের কারণে আপনার বেশ কিছু টাকা খোয়া যেতে পারে, হতে পারে অন্য আরো অনেক সমস্যাও।

এখনকার দিনে মোবাইল এপ গুলোর কাজ করার ধরণ অনেক বদলেছে। হাজার হাজার ফ্রী এপ যেমন আছে তেমনি আছে বেশ অনেকগুলো পেইড এপ(টাকার বিনিময়ে যেসব এপ কিনতে হয়)। আবার ফ্রী অনেক এপের ভেতরেও আরো বেশি ফিচার পাবার জন্য বা এডিশনাল কিছু ফিচার পাবার জন্য দিতে হয় টাকা।
অনেক সময় প্রয়োজনীয় কাজের জন্য আমরা ফোনে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড বা এমন কোন পেমেন্ট গেটওয়ে এড করে থাকি। কখনো আমরা কোন একটি দরকারি এপ কেনার জন্যও কার্ড এড করে থাকি। এখনকার ফোনগুলি এবং এপের কাজ করার ধরণ এমন যে একবার কোন একটি কার্ড এড করার পর সেটা রিমুভ না করলে সেই কার্ড ফোনে সংরক্ষিত অবস্থায় থাকে এবং একের পর এক পেমেন্ট প্রদানের জন্য সেটা ব্যবহার করা যায় কোন প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই। এবং যার ফলে আপনার ছেলে/মেয়ে কিংবা ভাতিজা/ভাতিজি কিংবা ভাগ্না/ভাগ্নী যে কেউ ভুল করে কোন একটি গেমের বিশেষ কিছু সুবিধা পেতে কিংবা একটি পেইড গেম কিনতে আপনার কার্ডের টাকা সম্পূর্ণ নিজের অজান্তেই খরচ করে ফেলতে পারে।

আজকে আমরা কথা বলব কিভাবে এই কোন একটি গেম বা এপের ভেতরের কোন অতিরিক্ত ফিচার পেতে কার্ড দিয়ে টাকা প্রদান করার বিষয়টি বন্ধ করা যায় তা নিয়ে। তো চলুন শুরু করা যাক।


In App Purchases কি?

চলুন প্রথমেই জেনে নেই এই এপের ভেতরে কিছু কেনা বা In App  Purchases বিষয়টা কি। স্মার্টফোন ব্যবহারকারী প্রায় সকলেরই এই বিষয় নিয়ে ধারণা আছে। তারপরও বিষয়টা একটু ব্যাখ্যা করা যাক।
কোন একটি মোবাইল এপ থেকে যে অতিরিক্ত ফিচার, সুবিধা, সাবস্ক্রিপশন বা আইটেম আপনাকে টাকা দিয়ে কিনতে হয় তাই হল In App Purchases। কোন একটি এপ সম্পূর্ণ ফ্রী হতে পারে কিন্তু ফ্রিতে সেই এপ আপনাকে হয়ত কিছু লিমিটেড কাজ করার সুযোগ দিবে, এপটির সকল ফিচার ব্যবহার করতে বা এপের সব কাজ করতে দেবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করেন। কিংবা কোন একটি গেমে সকল লেভেল বা বিশেষ লেভেল আনলক করতে, গেমে গোল্ড বা জেম বা এধরণের কিছু কিনতে, কোন সুপার পাওয়ার বা কোন বিশেষ অস্ত্র পেতে আপনাকে কিছু টাকা প্রদান করতে হয়। এসবই In App Purchases এর অন্তর্ভুক্ত।
এক কথায় বলতে গেলে, কোন একটি এপের ভেতর টাকা প্রদান করে কোন অতিরিক্ত সুবিধা নেবার প্রক্রিয়াই হল In App Purchases।

বলতে গেলে অনেক সময় In App Purchases খুবই উপকারী বা কার্যকরী হতে পারে, যদি সেটা সঠিক কারণে করা হয়ে থাকে। প্রয়োজনীয় অনেক বিশ্বসেরা এপের বিশেষ কোন সুবিধা নিতে আপনি In App Purchases করতে পারেন কিন্তু যদি ভুলে বা অন্য কোন কারণে কোন অপ্রয়োজনীয় কোন এপে কিছু কিনে ফেলেন তাহলে সেটা অবশ্যই আপনার জন্য অনেক ক্ষতিকর। আর এটা ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠে কেননা এপগুলো নিজেদের পকেট পূর্ণ করার জন্য আপনাকে সবসময় In App Purchases এ উৎসাহিত করে এবং ব্যাপারটাকে অনেক সহজ করে দেয় ফলে ভুল হওয়াটা খুবই সহজ।


সব In App Purchases কি একই রকম?

উত্তরটা হল 'না'। একটা এপের ভেতর অনেক রকম কারণে অনেক রকম ভাবে আপনি টাকা দিয়ে কিছু কিনতে পারবেন। বিভিন্ন রকম In App Purchases গুলি হল:

One-Time Purchases

গেম লেভেল, কোন একটি বিশেষ ফিচার, গেমের ম্যাপ বা এই ধরণের কিছু কেনা হল ওয়ান টাইম। এগুলো শুধুমাত্র একবার কিনলেই চলে। এরপর যখন ইচ্ছা ব্যবহার করা যায় কিংবা এপটি ডিলেট করে দেবার পরেও আবার ইন্সটল করার পরেও সেগুলো ব্যবহার করা যায় আর কিনতে হয় না।


Perishable Purchases

মূলত এ ধরণের ক্রয়গুলি বারবার করতে হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, গেম কয়েন, হেলথ, গোলাবারুদ, গোল্ড, ডায়মন্ড, জেম এ ধরণের জিনিসগুলি যেগুলি শেষ হয়ে যাবে কিংবা নির্দিষ্ট মেয়াদের পর আর থাকবে না। এপ ডিলেট করে দিলেও এগুলো আর থাকবে না নতুন করে কিনতে হবে। বারবার।

Subscription

এক বছরের জন্য কোন একটি এপের সকল ফিচার ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে এক বছরের সাবস্ক্রিপশন কেনা যায়। এরও নির্দিষ্ট মেয়াদ আছে তবে কোন কারণেই এই সময়ের আগে এর কোন সমস্যা হবে না, এপ ডিলেট বা অন্যকোন কারণেও না।


In App Purchases কিভাবে বন্ধ করবেন?

ইতিমধ্যেই হয়ত আপনি এর কারণে কোন ভোগান্তি পোহিয়েছেন কিংবা কে জানে ভুলে আপনার বেশ কিছু টাকা হয়ত চলে যেতে পারে। আর তাছাড়া বার বার এপগুলো অভ্যন্তরীণ ক্রয়ের জন্য নোটিফিকেশন শো করে যেটাও অনেক বিরক্তিকর। আর তাই ঝামেলা থেকে বাঁচতে বন্ধ করতে হবে এই In App Purchases।

IOS বা আইফোনে

Settings –> General –> Restrictions এ গিয়ে “Enable Restrictions” এর উপর ট্যাপ বা ক্লিক করুন। যদি প্রথমবারের মত আপনি এটা করতে গিয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে একটি PIN কোড দুইবার দেবার মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করতে হবে। তারপর নিচে নেমে “In App Purchases” এর উপর ট্যাপ করে Off করে দিতে হবে।


এন্ড্রয়েডে

Google Play Store ওপেন করে 'Settings' থেকে 'User Controls' থেকে “Set or change PIN” এ গিয়ে একটি নতুন PIN দিয়ে দিন। আইফোনের মত এখানে In App Purchases সম্পূর্ণ বন্ধ করা যায় না কিন্তু “Use PIN for purchases” অন করে In App Purchases এ আরেক ধাপের সিকিউরিটি এড করতে পারেন। 

























































উইন্ডোস কিংবা ম্যাক নয়; যে ৫টি কারণে আমি লিনাক্স ব্যবহার করি

উইন্ডোস কিংবা ম্যাক নয়; যে ৫টি কারণে আমি লিনাক্স ব্যবহার করি

এই টিউনটি শুধুমাত্র একটি ব্যক্তিগত মতামত। এখানে কোন তুলনা করা হয়নি। টিউনটিকে হালকাভাবে নিন, বিতর্ক সৃষ্টি করবেন না।

ফ্রী এবং ওপেন সোর্স সফটওয়্যারগুলি সবসময়ই কার্যকরী এবং উপযোগী হয়ে থাকে। ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেমও এর ব্যতিক্রম নয়। জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে যদিও 'ওপেন সোর্স অপারেটিং' সিস্টেমগুলি 'কমার্সিয়াল অপারেটিং সিস্টেমে'র ধারেকাছেও নয় কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে কোন দিক দিয়েই কমার্সিয়াল অপারেটিং সিস্টেমের চেয়ে ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম কম নয়। বরঞ্চ বলতে গেলে ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেমগুলি অনেক ক্ষেত্রেই কমার্সিয়াল অপারেটিং সিস্টেমের থেকে বেশি কার্যকরী। কিন্তু অবাক করা বিষয় যে, পার্সোনাল কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের মাঝে বেশিরভাগই ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেমগুলোর সম্পর্কে জানে না। আর যারা জানে তাদেরও বেশিরভাগ পেইড বা কমার্সিয়াল অপারেটিং সিস্টেমই ব্যবহার করে থাকে। আমরা এখন আছি বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ বাংলা প্রযুক্তি প্লাটফর্মে, এই প্লাটফর্মের যে কোন্রকম ব্যবহারকারী কতজন ব্যক্তি লিনাক্স ব্যবহার করে? কেউ কেউ করে থাকলেও সেটা হাতে গনা যাবে।

আমি লিনাক্স ব্যবহারকারী। ব্যক্তিগতভাবে আমি একজন প্রোগ্রামিং এর ছাত্র (প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা নয়, স্বশিক্ষা😉😉) এবং শিখছি হ্যাকিং; যে কারণে আমাকে একসময় লিনাক্স ব্যবহার করতে বলতে গেলে বাধ্য হতে হয়েছিল। এখন আমি পুরোদমে একজন লিনাক্স ব্যবহারকারী। এবং বলতে গেলে এখন আমি একজন 'লিনাক্স লাভার'। অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের সাথে তুলনায় এবং ওপেন সোর্স বিবেচনায় উইন্ডোস এবং ম্যাকের চেয়ে লিনাক্স ব্যবহার করা খুবই সহজ এবং কম্ফোর্টেবল। তিনবছর ধরে এই লিনাক্স ব্যবহার এবং লিনাক্সকে সেরা মনে করার পেছনের কিছু কারণ সম্পর্কে আলোচনা করার জন্যই আজকের টিউন(আমার ডিভাইস দুইটি। একটি উইন্ডোস ওএস আর আরেকটা এই লিনাক্সের)। তো চলুন শুরু করা যাক।


১) সব করতে পারি

আমার লিনাক্স ব্যবহার করার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হল আমি লিনাক্সে সব করতে পারি। কম্পিউটিং এর যা যা আছে তার প্রায় সবকিছুই লিনাক্স দিয়ে করতে পারি স্বচ্ছন্দে। একটা সময় মনে করা হত লিনাক্স শুধুমাত্রই টার্মিনাল ল্যাঙ্গুয়েজে(Terminal Language) দক্ষ প্রোগ্রামারদের জন্য তৈরী যেখানে তারা তাদের রেসপেকটিভ কাজগুলো করে কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই। লিনাক্স একটি পূর্ণাঙ্গ অপারেটিং সিস্টেম। আমি নিজেও টার্মিনাল ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে খুব বেশি জানি না, কয়েকটি কমান্ড হয়ত আমি পারি কিন্তু না পারলেও ক্ষতি নেই। টার্মিনাল ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে না জেনেও লিনাক্স ব্যবহার করা কঠিন কিছু নয়। আপনি ইচ্ছা করলে ইংরেজি ভাষাতেই টার্মিনাল ল্যাঙ্গুয়েজ কমান্ড দিতে পারবেন, এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই টিউনটি দেখে নিন। আর যদি আপনি লিনাক্সের গ্রাফিক্যাল ভার্সন ব্যবহার করেন তাহলে তো কোন ঝামেলাই নেই।
আপনার মনে হতে পারে সব করতে পারি বলতে আমি আসলে কি বুঝিয়েছি আসলেই সবই বুঝিয়েছি। যেমন: ফ্রী সফটওয়্যারগুলি কাজ করে, আমি অনলাইনে ব্রাউজ করি, ভিডিও দেখি, গান শুনি, লেখালেখি করি, ক্যামেরা বা মোবাইল থেকে ছবি ইমপোর্ট করতে পারি। এক কথায় বলতে গেলে একটা কমার্সিয়াল অপারেটিং সিস্টেমে যা যা করা সম্ভব তার প্রায় সবই লিনাক্সেও করা সম্ভব। হ্যাঁ, মাঝে মাঝে কিছু বাগ দেখা দেয় বা পাওয়া যায় কিন্তু সব অপারেটিং সিস্টেমেই কোন না কোন বাগ থাকেই, তাই না?
আমার যা যা করা প্রয়োজন তার সবই লিনাক্স আমাকে করতে দেয় আর তাই লিনাক্স চেঞ্জ করার কারণ আমি খুব বেশি দেখি না।


২) লিনাক্স সম্পূর্ণ ফ্রী

আমরা এমন একটা সময়ে বসবাস করছি যেখানে স্কুলে যাওয়ারও আগে একজন বাচ্চার জন্য কম্পিউটার সম্পর্কে জানাটা অপরিহার্য। আর এই সময়টার সুযোগ নিয়েই বড় বড় সব প্রতিষ্ঠান গুছিয়ে নিচ্ছে তাদের আখের। হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে তারা বিক্রি করছে কম্পিউটার সফটওয়্যারগুলি। 'হাজার টাকার বিনিময়ে সফটওয়্যার' কোন খারাপ বিষয় তা আমি বলছি না। কিন্তু সবসময় তো আর হাজার টাকা দিয়ে সফটওয়্যার কেনা সম্ভব হয় না। আবার অনেকে সেই ব্যয়টা বহনও করতে পারে না। আর আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশে লেজিট সফটওয়্যার এমনকি সরকারি দফতরগুলোতেও ব্যবহার হয় না। হ্যাঁ, ক্র্যাকের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন সফটওয়্যারের পাইরেটেড ভার্সন ব্যবহার করে থাকি কিন্তু সেটা একদিকে নৈতিকতার পরিপন্থী এবং অন্যদিকে অনেক ঝুকিপূর্ণও। অনেক সময় মারাত্মক নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্মুখীন হয় আমাদের তথ্যসমূহ এই ক্র্যাকড সফটওয়্যার ব্যবহারের কারণে। এইসব ঝামেলার চেয়ে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার করা হাজারগুণ বেশি ভালো।
বর্তমান সময়ে গুগল(Google) এবং ক্রোমবুকস(Chromebooks) এর কিছু সফটওয়্যার এবং অপারেটিং সিস্টেম ফ্রীতে পাওয়া যাচ্ছে কিংবা খুবই কম মূল্যে কিছু ভাল সফটওয়্যার বা এপ পাওয়া যাচ্ছে। এর কারণ হল গুগল মূলত আয় করে থাকে এডভার্টাইজিং থেকে। গুগল আমাদের ট্র্যাক করে এবং আমাদের ইনফরমেশন গুলো মনিটর করে যেটা বেশিরভাগ সময়েই কাম্য নয়। এ কারণে প্রাইভেসি নিয়ে যারা সেনসেটিভ তারা ব্যাপারটা পছন্দ করেন না যদিও গুগলের কাছে তাদের সমস্ত ডাটা সুরক্ষিত। এদিক থেকেই লিনাক্স কম্পিউটিংকে সহজ করে দিয়েছে। লিনাক্স যে একজন ব্যবহারকারীকে সম্পূর্ণ আড়ালে রাখ এটা সবাই জানে এবং লিনাক্স ও এর সম্পর্কিত সমস্ত সেবা সম্পূর্ণ ফ্রী।


৩) আমি সম্মানিত বোধ করি

সাধারণত কমার্সিয়াল সফটওয়্যারগুলি প্রোডাক্টের মত বিবেচিত হয়। আপনি টাকা দিয়ে সেটি কিনলেও আপনাকে এর স্বত্ব দেয়া হয় না। কপিরাইটের মাধ্যমে আপনাকে অনেকগুলি সীমাবধ্যতার মাঝে বেঁধে ফেলা হয়। ফলে আপনি টাকা দিয়ে যে প্রোডাক্টটি কিনলেন সেটির মালিক আপনি হলেও আপনি আসলে পরিপূর্ণ মালিকানা বা সম্পূর্ণ মালিকানা পেলেন না। আর বলতে গেলে একটি সফটওয়্যার যদিও একটি প্রোডাক্টের মত কিন্তু এটা কোন প্রোডাক্ট নয়। একটি সফটওয়্যার হল লাখ লাখ লাইনের প্রোগ্রাম কোড। আপনি সফটওয়্যার কিনলেন মানে আপনি এই কোডগুলিই কিনলেন। এরপর আপনি সেগুলোকে কাস্টমাইজ করার ক্ষমতা পাবারই কথা কিন্তু কমার্সিয়াল সফটওয়্যার এর ৯৫% ই আপনাকে সেই স্বাধীনতা দেবে না। আপনি সফটওয়্যার কাস্টমাইজ করতে পারবেন না। লিনাক্সের জন্য তৈরী সব প্রোগ্রামই ওপেন সোর্স এর অধীনে পড়ে।  আর ওপেন সোর্স সব সফটওয়্যার আপনাকে সম্পূর্ণ এবং প্রকৃত মালিকানা দেয়। আপনি কোন টাকা দিয়ে কেনা ছাড়াই যে কোন কিছু নিজের মত করে গুছিয়ে নিতে পারবেন। 
আর এই প্রকৃত মালিকানার বিষয়টি আপনার মনে একটু আনন্দ দিতে, একটু মালিকানার সম্মান অনুভব করাতে যথেষ্ট। লিনাক্স ব্যবহারকারী হিসেবে আমি তাই সম্মানিত বোধ করি।


৪) সম্পূর্ণই বিশ্বাসযোগ্য

'তারা আপনার পিসি বা ডিভাইসের সমস্ত কিছুই ট্র্যাক করছে। আপনার উপর নজর রাখছে। আপনি ওয়েবে কোথায় কি করছেন, পিসিতে কখন কোথায় কি করছেন, কি গান শুনছেন, কি ভিডিও দেখছেন সব নজরদারি করছে। এমনকি আপনার ওয়েব ক্যামের মাধ্যমে আপনার উপরেও নজর রাখছে।' অসম্ভব নয়। হতেই পারে আপনার উপর নজরদারি করা হচ্ছে। সফটওয়্যার কোম্পানিটি না করলেও কোন গোয়েন্দা সংস্থা হয়ত করছে বা করছে অন্য কেউ। আপনার সমস্ত তথ্য তাদের কাছে চলে যাওয়াটা কোন ব্যাপারই না। হ্যাক হতে পারে সমস্ত তথ্য। তারপর হয়ত আপনার সব তথ্য বিক্রি হয়ে যাবে অন্য কোথাও, আপনার অজান্তেই। হতেই পারে, মূল কোম্পানিটি না করলেও কোন হ্যাকার সেই কোম্পানির সার্ভার হ্যাক করে এর সমস্ত ব্যবহারকারীর তথ্যও হ্যাক করতেই পারে। সারাবিশ্বের গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত বইভিন্ন সংবাদ দেখলে বোঝা যায় কতশত নামিদামী কোম্পানি গোপনে তাদের ব্যবহারকারীদের উপর নজরদারী করছে। মাইক্রোসফটের মত একটি কোম্পানি উইন্ডোস টেন এর জন্য একজন ব্যবহারকারীর যেসব তথ্য নিয়েছে সেটা কি আসলেই দরকার ছিল? মাইক্রসফট ফ্রীতে উইন্ডোস টেন দিয়েছে কিছুদিন আগে। এর পেছনেও তো থাকতে পারে কোন কারণ। আমি বলছি না আছে, শুধু আশংকার কথাটা বললাম।
আর এইসমস্ত ঝামেলা থেকে মুক্ত লিনাক্স। সম্পূর্ণই মুক্ত। লিনাক্সে নেই কোন ট্র্যাকিং, তথ্য সংগ্রহ বা এমন কিছু। আর তাই লিনাক্সকে আমি বিশ্বাস করি সম্পূর্ণই।


৫) সমস্ত কিছুতেই লিনাক্স দেয়া সম্ভব

পরিষ্কারভাবে বললে, আমি এটা বোঝাই নি যে সমস্ত পিসিতেই লিনাক্স চালানো যাবে। নতুন একটি উইন্ডোস ভিত্তিক ডিভাইসে লিনাক্স দেয়া সম্ভব না আর যদিও সম্ভব হয় তাহলে অনেক ড্রাইভার সহ অনেক কিছুই ক্র্যাশ করবে, ঠিকমত চলবে না। একই রকম ব্যাপার ঘটবে অনেক পুরনো কোন ডিভাইস বা পিসিতেও।
আসল কথা হল লিনাক্স একটি ফ্লেক্সিবল অপারেটিং সিস্টেম। গুগলের ডেভেলাপ করা এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম এখনকার ৯৫% স্মার্টফোন চলে। এই এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম হল লিনাক্স বেসড। অর্থাৎ লিনাক্সের একটি সংস্করণ হল এন্ড্রয়েড। একই রকমভাবে লিনাক্স চলতে পারে টিভি কিংবা ঘড়ির মত ডিভাইসেও। ইতিমধ্যেই এন্ড্রয়েড টিভি এবং ঘড়ি পাওয়া যায়। এছাড়াও প্রায় সবকিছুতেই লিনাক্স ব্যবহার করা সম্ভব।


লিনাক্স কোন প্রোডাক্ট নয়। লিনাক্সের কোন মালিক নেই। সবাই এর মালিক। যে যার মত একে কাস্টমাইজ করে ব্যবহার করতে পারে। আর এটাই লিনাক্সের সবচেয়ে বড় সক্ষমতা।

আমি তো লিনাক্স লাভার এবং ব্যবহারকারী। কিন্তু আপনি কি করবেন?


আপনি কি লিনাক্স ব্যবহার করবেন? শুধুই লিনাক্স?

নির্ভর করে আপনার প্রয়োজনের উপর। আপনি যদি একজন গেমার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার লিনাক্স ব্যবহার করার কোন মানে নেই(আমি একজন হার্ডকোর গেমার। এইজন্যেই...😊😊)। লিনাক্স প্লাটফর্মের উপর গেম বলতে গেলে প্রায় নেই। আর এটা অবশ্যই সত্য লিনাক্স কখনোই সেরা অপারেটিং সিস্টেম নয়। আপনার যেটা সবচেয়ে ভালো লাগবে সেই অপারেটিং সিটেমই আপনার জন্য সেরা। কম্পিউটিং এর বেসিক জিনিসগুলির সাথে যদি হালকা প্রোগ্রামিং কিংবা হ্যাকিং শেখার ইচ্ছা থাকে কিংবা লিনাক্স শেখার ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনার জন্যই লিনাক্স। কিন্তু যদি থাকে অন্য পরিকল্পনা তাহলে লিনাক্সে না আসাই ভাল হবে।

























































































২০ টি ফ্রী ফটোশপ একশন; ছবি ইডিটিং এর ঝামেলার দিন শেষ।

২০ টি ফ্রী ফটোশপ একশন; ছবি ইডিটিং এর ঝামেলার দিন শেষ।

ফটোশপ সম্পর্কে বলার কিছু নেই। ছবি বা ইমেজ এডিটিং এর কথা চিন্তা করলে আমরা ফটোশপ ছাড়া আর কিছু ভাবতে পাই না। Adobe কোম্পানির ফ্ল্যাগশিপ Image-Editing বা ছবি-এডিটিং সফটওয়্যার হল Photoshop(ফটোশপ)। শক্তিশালি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে তৈরী ফটোশপে আপনি ইচ্ছা করলে কোন একটি টাস্ক বা কাজকে একশন(Action) হিসেবে সেভ করে রাখতে পারেন। পরবর্তীতে শুধুমাত্র সেই একশনটি ওপেন করার মাধ্যমেই সেই টাস্কটি করে ফেলতে পারবেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনি একটি ছবির কালার কারেকশন সহ বেশ কিছু কাজ করলেন এবং সেটা ধারণার অতীত রকম ভাল হল। এখন এই একই ধরণের ছবি পরবর্তীতে কালার কারেকশন করার জন্য আপনি এই সম্পূর্ণ কালার কারেকশন সহ এডিটিং এর প্রক্রিয়াটি সেভ করে রাখতে পারেন। পরবর্তীতে শুধুমাত্র একশন রান করানোর মাধ্যমেই আগের সেই সম্পূর্ণ এডিটিং এফেক্টটা দিয়ে ফেলতে পারবেন যে কোন ছবিতে।

শুধুমাত্র যে নিজের এডিটিং প্রক্রিয়া সেভ করে রাখতে পারবেন তাই নয় ইচ্ছা করলে বাইরে থেকেও একশন ইমপোর্ট করতে বা আনতে পারেন। বিখ্যাত অনেক ফটোশপার ফ্রীতে একশন তৈরী করে ইন্টারনেটে রেখে দেন সেগুলি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন আপনার ছবিতে ফটোশপের মাধ্যমে। যার ফলে একই সাথে সময় এবং পরিশ্রম বাঁচবে এবং আপনি বিশ্বমানের একশন ব্যবহার করে আপনার ছবিকে করে তুলতে পারবেন আরো আকর্ষনীয়। এই টিউনে আমরা ৩০টি ফ্রী ফটোশপ একশন সম্পর্কে জানব এনং ব্যবহারের জন্য সেগুলো ডাউনলোড করে নেব। তো চলুন শুরু করা যাক।


১) Nightmare


কোন ছবিতে যদি একটু গা ছমছমে ভাব দিতে চান তাহলে এই একশন ব্যবহার করতে পারেন অনায়াসে। ছবিতে একটু অনিশ্চয়তা, একটু অন্ধকার এবং ভয়ংকর ভাব দিতে এই একশনটি নিঃসন্দেহে অসাধারণ।


২) Cold Nightmare


একটি নিরীহ গোবেচারা ধরণের ছবিকে কিভাবে মনে ভয় ঢুকানো ছবি বানিয়ে ফেলা যায় তা দেখতে হলে ব্যবহার করতে হবে এই একশনটি। সুন্দর রৌদ্রজ্জ্বল দিনের একটি ছবিকে অন্ধকার জগত বা Dark World এর স্পর্শ দিতে একশনটি অনন্য।


৩) Summer Haze


নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এই একশনটি ছবিকে আরো রাঙিয়ে তুলবে। ছবিকে আরো জীবন্ত করে তুলার জন্য এই একশন। গ্রীষ্মকালের দুপুরের অনুভূতির প্রকাশ ঘটবে।


৪) Hazy Afternoon


আউটডোর পিকচার বা বাহিরের ছবির জন্য এটা উপযোগী একতা একশন। ছবিতে একটা ঘোলা বা কুয়াশাচ্ছন্ন বিকেলের আবহাওয়া প্রদান করবে।


৫) Sun Kissed


বিভিন্ন রকম সূর্য্যের আলোতে তোলা ছবি দেখতে এই একশনটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। বেশ অনেক রকম ফিল্টারের মাঝে থেকে আপনার পছন্দমত লাইট বা আলোর ফিল্টার একশন নিতে পারবেন।


৬) HDR Action


অপেক্ষাকৃত কম কন্ট্রাস্টের ছবি বা কালার ফেড হয়ে যাওয়া ছবিকে কন্ট্রাস্ট ঠিক করে HDR লুক দিতে এই একশন। চার সেট একশন থেকে ছবির সৌন্দর্য অনুযায়ী যে কোন একটা সিলেক্ট করে নিতে পারবেন।


৭) Strong HDR Effect


উচ্চ কন্ট্রাস্টের স্পন্দনশীল বা Vibrant কালার ইফেক্ট দিতে যে কোন ছবিতে এই একশনের তুলনা হয় না।


৮) Blue Evening


আপনার ছবিতে অদ্ভুত বা মিস্ট্রিয়াস আলো এড করতে চাইলে এই একশন আপনার জন্য। এটা অনেকটা স্বপ্নের দুনিয়া ধরণের অনুভূতি দিবে।


৯) Night To Twilight


নাম রক্ষা করেই এই একশনটি দিয়ে রাতের ছবিকে চাঁদের আলোতে আলোকিত রাত বা জ্যোৎস্না রাত হিসেবে চেঞ্জ করতে পারবেন। ১১ ধরণের জ্যোৎস্না রাতের ইফেক্ট পাবেন এখানে।


১০) Purple Contrast


ছবি থেকে বেশ কিছু রঙ সরিয়ে ছবিতে গোলাপি বা Purple হিউ(Hue) দেয় ফলে সব কিছু অনেকটা গোলাপি হয়ে যায়। এটাও অনেকটা স্বপ্নের মত দুনিয়ার ফীল দিবে।


১১) Bella


এই একশনটি আপনার ছবিতে একধরনের সুন্দর এবং উষ্ণ আবহাওয়া দেবে। মাথা ও চুলের টোন(Tone) বাড়িয়ে এবং একটা গোলাপি আবহ দিয়ে অন্যান্য কালারকে সফট(Softening) করে একটা রোমান্টিক-নস্টালজিক অনুভূতি নিয়ে আসে।


১২) Wedding Enhancer Kit


বিয়ের ফটোগ্রাফির জন্য ফটোশপ একশন খুবই কার্যকরী। এই একশনে ১১টি  আলাদা আলাদা ওয়েডিং ইফেক্ট আছে যেগুলো দিয়ে ওয়েডিং বা বিয়ের ছবিগুলোকে করে তোলা যাবে আরো আকর্ষনীয়।


১৩) Photoshop Color Actions


ছবির কালার নিয়ে কাজ করার জন্য এই একশনে আছে অনেক ধরণের কালার ট্রিটমেন্ট। ছবির কালার ঠিক করার জন্য এগুলো কার্যকরী।


১৪) Cross-Processing ATN


ক্রস প্রসেসিং একটি ট্র্যাডিশনাল ছবি তোলার বা ফটোগ্রাফির টেকনিক। যেখানে একই ছবিতে দুই ধরণের ইফেক্টের মিশ্রণ থাকে। এক ছবিরই এক পাশে একটু গাঢ় কালার এবং অন্য পাশে হালকা কালার থাকে। এই একশনটি সেই একই ধরণের িফেক্ট তৈরী করে।


১৫) Cross Processed


কালার স্যাচুরেশন(Saturation) বাড়িয়ে দিয়ে এবং ছায়া বা Shadow কে আরো গাঢ় করে ছবিতে নাটকীয়তা(Drama) এবং ভিভিড কালার(Vivid Color) ইফেক্ট যোগ করে। সমুদ্র, বাড়িঘর, ল্যান্ডস্কেপ এর জন্য এটা কার্যকর।


১৬) HipstaRev


এই একশনটি মূলত ছবিকে Hipstamatic-style দিয়ে থাকে। তিন ধরণের Hipstamatic-style এর প্রত্যেকটা এই একশনে আছে।


১৭) 2-Strip Technicolor


ছবিতে 2-strip Technicolor ফিল্মগুলির মত লুক দিতে চাইলে এই একশন আপনার জন্য। 2-strip Technicolor মূলত সাদাকালো সিনেমাকে লাল এবং সবুজ এই দুটি রঙে রাঙাতো। এই একশনটি অরিজিনাল ইমেজকে অক্ষত রেখেই 2-strip Technicolor ইফেক্টটা তৈরী করে।


১৮) Hard Lomo


ক্ল্যাসিক লোমো লুক সবসময়ই আকর্ষনীয়। আর এই ক্ল্যাসিক লোমো লুক যদি দিতে চান আপনার ছবিতে তাহলে এই একশনটি আপনার জন্যেই।



১৯) Retro Style Filters


ভিনটেজ ফ্লেভারের এই একশনটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।


২০) Polanoid Generator


পোলারয়েড ক্যামেরাগুলি একসময় খুব জনপ্রিয় ছিল। এখনো অনেকে আধুনিক পোলারয়েড ধরণের ক্যামেরা ব্যবহার করে থাকেন। যদি আপনার ছবিকে পোলারয়েড ক্যামেরাতে তোলা ছবির মত ইফেক্ট দিতে চান তাহলে এই একশনটি আপনার জন্যেই। এটা এমনই এক একশন যেটা আপনি ব্যবহার করতে চাইবেন বারবার। 
















































































বুধবার, ২৩ মে, ২০১৮

৪টি মজার এড ব্লকার। ইন্টারনেট ব্রাউজিংকে করে তুলুন আরো রঙিন।

৪টি মজার এড ব্লকার। ইন্টারনেট ব্রাউজিংকে করে তুলুন আরো রঙিন।

যদি আপনি এড ব্লকার নিয়ে আমার পূর্বের টিউনটি পড়ে থাকেন তাহলে আপনি ইতিমধ্যেই জানেন, এড ব্লকার কি? কেন? কিভাবে কাজ করে? আর সেরা এড ব্লকারগুলো সম্পর্কে। যদি টিউনটি না পড়ে থাকেন এই টিউনটি পড়ার আগে এখনই পড়ে নিন টিউনটি, তারপর এই টিউনটি পড়া শুরু করুন।

এখন আপনি এড ব্লকার সম্পর্কে জানেন। আপনি কি একটা এড ব্লকার ব্যবহার করতে শুরুও করে দিয়েছেন?!
আপনি যদি ইতিমধ্যেই বিরক্তিকর এড সমূহের যন্ত্রনা থেকে বাঁচার জন্য কোন এড ব্লকারের ব্যবহারকারী হয়ে থাকে তাহলে আপনি এড এর যন্ত্রনা থেকে তো অবশ্যই মুক্তি পেয়েছেন কিন্তু ব্রাউজিং হয়ে গেছে বড়ই একঘেয়ে। এড এর জায়গা ফাকা থাকা বা এমন আরো নানা কারণে ব্রাউজিং করে আগের মত আর মজা পাচ্ছেন না।
হয়ত ভাবছেন, এড ব্লকারগুলোর আসলে কোন রসবোধ নেই। কোন মজার দিক নেই।

কিন্তু থামুন।।। কে বলেছে এড ব্লকারগুলোর কোন মজার দিক নেই? কোন রসবোধ নেই? অবশ্যই আছে।
আছে অনেক মজার মজার এড ব্লকার যেগুলো ব্যবহার করতে গিয়ে আপনি নিজেও যে কখন ফিক করে হেসে উঠবেন মনের অজান্তে নিজেই বুঝবেন না। হ্যাঁ, আজকের টিউনের এমন চারটি মজার এড ব্লকার নিয়ে। তো চলুন শুরু করা যাক।


CatBlock

ক্যাটব্লক (বাংলায় বিড়ালবাধা😁😁😁) অন্যান্য ট্রাডিশনাল এড ব্লকারগুলোর মতই একটি এড ব্লকার। পার্থক্য হল অন্যান্য এড ব্লকারের মত এটা শুধুমাত্র কোন ওয়েবপেজ থেকে এড রিমুভই করে না CatBlock সেই পেজের এডটিকে বিড়ালের ছবি দিয়ে রিপ্লেস বা পরিবর্তন করে। অর্থাৎ পেজের যেখানে এড ছিল সেখানে বিড়ালের ছবি প্রদর্শন করে। 

ব্রাউজিং করার সময় চোখের সামনে কিউট সব বিড়ালের ছবি আসলে ভাল লাগবে না এমন কেউ নেই। আবার ইচ্ছা করলে ছবিটির আসল ঠিকানাতেও যেতে পারবের ছবিটির উপর ক্লিক করে।
এড ব্লকার হিসেবেও এটি খুব কার্যকরী। রয়েছে ক্রোম এবং ফায়ারফক্স ভার্সন।

ডাউনলোড করে নিন ক্রোমের জন্য অথবা ফায়ারফক্সের জন্য


V Energy AdNotes

ইনোভেটিভ কিংবা উদ্ভাবনী কোন কিছুতে এড ব্লকিং কে নিয়ে যেতে পারলে কেমন হয়?
V Energy AdNotes আপনাকে দিবে সম্পূর্ণ অনন্য এবং উদ্ভাবনী এড ব্লকিং এক্সপিরিয়েন্স। এর মাধ্যমে এড ব্লক করে সেই এডের যায়গায় আপুনার ইচ্ছামত কোন লেখা প্রদর্শন করাতে পারবেন।
এটা তৈরী করা হয়েছিল মূলত ছাত্রদের কথা মাথায় রেখে। অনেক ছাত্রই তাদের হোমওয়ার্কের কথা কিংবা কোন ক্লাসের কথা কিংবা কোন এসাইনমেন্টের কথা ভুলে যায়। V Energy AdNotes তাদের সেসব ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজের কথা অথবা কোন এসাইনমেন্টের কথা লিখে রাখলে কোন সাইট ব্রাউজ করার সময় সেটা প্রদর্শন করবে ফলে সবসময় কাজের কথা মাথায় থাকবে।

V Energy AdNotes ইন্সটল করার পর এক্সটেনশন ট্যাবে গিয়ে যেকোন নোট লেখা যাবে।

যদিও এটা শুধুমাত্র ছাত্রদের কথা ভেবে তৈরী কিন্তু আপনি ব্যবহার করতে পারেন আপনার প্রয়োজন মত যেকোন কিছু মনে রাখতে সাহায্য পেতে।
শুধুমাত্র ক্রোমের জন্য এই এক্সটেনশনটি ডাউনলোড করে নিন


Intently

যদি চান ওয়েবপেজের এড রিপ্লেস হয়ে সেখানে আপনাকে মোটিভেশনাল আর ইন্সপাইরেশনাল বিভিন্ন বাণী, ছবি এবং তথ্য প্রদর্শিত হোক তাহলে এই এক্সটেনশনটি আপনার জন্যই। ওয়েবপেজের এড ব্লক করে দিয়ে এটি সেই এডের স্থানে বিভিন্ন উৎসাহ মূলক বাক্যের ছবি প্রদর্শন করে থাকে।

অন্য এড ব্লকারগুলোর মত এটি নয়। এই এড ব্লকারটি একটু অন্যরকম। Intently ব্যবহার করতে হলে প্রথমে একটি একাউন্ট খুলে নিতে হবে তাদের ওয়েবসাইটে। এই এড ব্লকারটির রয়েছে দুটি ভার্সন, ফ্রী এবং প্রিমিয়াম। ফ্রী ভার্সনে ছবি পাবেন কম, একই ছবি ঘুরেফিরে দেখাবে অপরদিকে প্রিমিয়াম ভার্সনে হাজার হাজার ছবি দেখাবে এড এর স্থলে। ইচ্ছা করলে আপনি নিজেও বানিয়ে ফেলতে পারেন একটি ইন্সপাইরেশনাল ইমেজ এই এড ব্লকারটির মাধ্যমে।

একাউন্ট খুলতে এখানে ক্লিক করুন


Social Ads, Vintage Edition

পৃথিবীর সব ধরণের এড ব্লকার থেকে আলাদা এটি। মূলত এটা কোন এড ব্লকার নয়। এড সোয়াইপার বা পরিবর্তনকারী। Social Ads, Vintage Edition একটি এডকে পুরনো দিনের এড দিয়ে রিপ্লেস করে। অর্থাৎ, বর্তমানে থাকা কোন একটি ওয়েবপেজের এডকে সরিয়ে দিয়ে এটা সেই একই এডের অনেক পুরনো কোন ভার্সন শো করে।

যদি কখনো পুরনো দিনের স্বাদ পেতে ইচ্ছা করে থাকে তাহলে এটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। কিন্তু, এই এড সোয়াইপারটি বর্তমানে শুধুমাত্র ফেসবুক এ কর্মক্ষম। শুধুমাত্র ফেসবুকের ভেতর এটা কার্যকরী। তাই ফেসবুকের বাইরে আর কোথাও এর প্রভাব দেখতে পাবার আশা করবেন না।

এই এড ব্লকারগুলো মূল ধারার এড ব্লকার না হলেও ক্লার্যকরিতার দিক থেকে ভাল ভাল এড ব্লকারগুলোর থেকে এরাও কম যায় না। এই এড ব্লকারগুলো মূলত তাদের জন্য যারা ওয়েবপেজে খালি জায়গা দেখতে পছন্দ করেন না কিংবা হালকা বিনোদন খুঁজছেন এড হতে মুক্তি নিয়ে। এই এড ব্লকারগুলো যেহেতু এখনও এতটা নির্ভরযোগ্য না তাই আপনি যদি সিরিয়াসলি এড ব্লকিং করতে চান তাহলে অবশ্যই ক্যাজুয়াল এড ব্লকার ব্যবহার করাই ভাল হবে।

টিউনটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। জানাতে ভুলবেন না টিউনটি কেমন লাগল। সেই সাথে অবশ্যই জানাবেন কোন ধরণের এড ব্লকার আপনি ব্যবহার করছেন/করবেন?























































শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৭

রিভিউ : iOS 11; যে দশটি বিষয় আপনাকে বিবেচনা করতেই হবে

রিভিউ : iOS 11; যে দশটি বিষয় আপনাকে বিবেচনা করতেই হবে

OS 11 এখন এভেলেবল। অফসিয়ালি গত কয়েক বছরে তৈরী সকল আইফোন এবং আইপ্যাড এর জন্যে iOS 11 রিলিজ করা হয়েছে। আপনি একজন এপল পন্য ব্যবহারকারী হলে সম্ভাবনা হল আপনি আপনার OS আপগ্রেড করছেন। যদি আপনি ইতিমধ্যেই তা করে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই আগের iOS এর চেয়ে iOS 11 এ বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন। যদিও কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে কিন্তু নতুন iOS আর আগের iOS এর ব্যবহার অভিজ্ঞতা এক রকমই হবে, আপনি কিছুদিন ব্যবহার করলে নিজেও সেটা বুঝতে পারবেন। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, কন্ট্রোল সেন্টার ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত কিন্তু নোটিফিকেশন হালকা একটু পরিবর্তিত কিন্তু আগের মতই হোমস্ক্রীন এপগুলোর কমফোর্টেবল গ্রিড পাবেন। অর্থাৎ, নতুন অনেক কিছুই কিন্তু অপরিচিত কিছুই নয়।

iPad এর গল্পটা একদমই ভিন্ন। এপ ম্যানেজমেন্ট এবং এপ সম্পর্কিত সবচেয়ে ইউনিক বা মৌলিক পরিবর্তন এপল করেছে এই iPad এ। এপল এখানে এপ ডক(App Dock) নামে একটি ফিচারের পরিচয় করিয়ে দিয়েছে যার মাধ্যমে iPad এর যেখানেই, যে অবস্থায়, যাই করতে থাকুন না কেন শুধুমাত্র উপরের দিকে সোয়াইপ করে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এপগুলো বের করতে পারবেন অনেক বেশি দ্রুত। একই সাথে মাল্টিটাস্কিং এর কাজ করার ধরণেও পরিবর্তন দেখা যায় iPad এ। যার ফলে স্প্লিট স্ক্রীণ এপ পরিচালনা আরো বেশি ফ্লেক্সিবল হয়েছে।

চলুন দেখে নেই iOS 11 এ আপগ্রেড করার পর আপনাকে যে ১০টি বিষয় এর প্রতি আপনাকে দৃষ্টি দিতেই হবে;

কন্ট্রোল সেন্টার কাস্টমাইজ করা

সম্পূর্ণ নতুন iOS 11 এ সর্বপ্রথম যে বিষয়টি আপনাকে নাড়াচাড়া করে দেখতে হবে তা হল কন্ট্রোল সেন্টার(Control Center)। এটাকে সম্পূর্ণ নতুনভাবে এমনকরে ডিজাইজ করা হয়েছে যে একাধিক সোয়াইপেবল স্ক্রীণের বদলে এক স্ক্রীণের মাঝেই সম্পূর্ণ কন্ট্রোল প্যানেল বলতে গেলে এঁটে যায় বা একটি স্ক্রীণের মাঝেই সম্পূর্ণ কন্ট্রোল প্যানেলের সংস্থান হয়।

ফ্ল্যাশলাইটের উপর ফোর্স টাচ করলে একটি প্যানেল ওপেন হয় যেখান থেকে ফ্ল্যাশলাইটের তীব্রতা নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। নেটওয়ার্কিং প্যানেল ফোর্স টাচ করে ওয়্যারলেস রেডিও এবং হটস্পট টগল করার বাটন ওপেন করা যায়। একটি সুন্দর ব্যবস্থা হল, এয়ারপ্লেন মোড চালু করার পর যদি ব্লুটুথ চালু করেন তাহলে এই টগলটা সেখানে থেকে যায় ফলে পরবর্তীতে যখন এয়ারপ্লেন মোড চালু করবেন তখন আপনার ব্লুটুথ হেডফোন ডিসকানেক্ট হবে না।

প্রথমবারের মত এপল সেটিংস এ এমন কাস্টমাইজ করার ব্যবস্থা প্রদান করছে যেখানে আপনি ইচ্ছা করলে কন্ট্রোল প্যানেলে কোন বাটন থাকবে বা কোন বাটন থাকবে না সেটা ঠিক করে দিতে পারবেন। এবং আপনার ইচ্ছামত ক্রমে সাজিয়েও নিতে পারবেন। সবসময়ের মত এপল কোন থার্ড পার্টি ডেভেলাপারদের কোন কিছু এখানে ব্যবহার করার কোন সুযোগ দিচ্ছে না।

আপনাকে সন্তুষ্ট করার মত বেশ কিছু কন্ট্রোল প্যনেল ফিচার রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, Apple Tv Remote এর জন্য কুইক এক্সেস রয়েছে; লক স্ক্রীণের জন্য কন্ট্রোল প্যানেল অন করে রাখলে এটা আসল রিমোটের চেয়েও বেশি কার্যকর হতে পারে। স্ক্রীণ রেকর্ডিং ফিচারটিও বেশ উন্নত। আপনি স্ক্রীণে যাই করতে থাকেন না কেন স্ক্রীণ রেকর্ডিং খুব নিখুঁতভাবে এর ভিডিও করে রাখতে সক্ষম। টেক রিভিউ এবং টেক সাপোর্টের জন্য এই ফিচারটা বেশ কার্যকর তা ছাড়াও এটি গেমপ্লে ভিডিও রেকর্ড করা সহ বেশ কিছু কাজে ব্যবহার করা সম্ভব।

যদিও এপল Wifi নেটওয়ার্ক সিলেকশনের জন্য কোন কুইক এক্সেস স্ক্রীণের কোথাও নেই। Wifi নেটওয়ার্ক সিলেক্ট করার জন্য বা চেঞ্জ করার জন্য আপনাকে সেটিংস এ যেতেই হবে। ব্লুটুথ এর ব্যাপারটা সহজ হলেও লোকেশন অন করাও WIfi এর মত ঝামেলার।


নোটিফিকেশন কিভাবে কাজ করে

এক্ষেত্রে এপল কিছুটা অলসতা দেখিয়েছে। নোটিফিকেশনগুলি খুব দ্রুত স্ক্রীণে আসে এবং নোটিফিকেশন আসার সময় যে সাউন্ড হয় সেটা আহামরি কিছু নয়। iOS 11 এর নোটিফিকেশন সিস্টেম অনেককেই হতাশ করবে। একটা ছোট X বাটনে ক্লিক করে আপনি সমস্ত নোটিফিকেশন সরিয়ে দিতে পারবেন।

যদিও এখন এপল নোটিফিকেশন সোয়াইপ করে সরিয়ে ফেলার এবং একসাথে সব সরিয়ে ফেলার জন্যও ব্যবস্থা রেখেছে কিন্তু এন্ড্রয়েডের মত উন্নত নোটিফিকেশন সিস্টেমের অনেক কিছুই উপেক্ষা করেছে। যেমন একই এপ এর নোটিফিকেশনগুলি গ্রুপ করে একসাথে রাখা কিংবা বেশি গুরুত্বপূর্ণ নোটিফিকেশন সবার উপরে রাখা।

iOS 11 এর নোটিফিকেশনের সবচেয়ে ভাল দিক হল উপর থেকে যে শেডটা আপনি টেনে নামাবেন সেটা লক স্ক্রীণের মত একই। দেখতে এবং কাজের ক্ষেত্রে একই রকম। আরো নিচের দিকে সোয়াইপ করে ক্যামেরা এবং উইজেট স্ক্রীণে যেতে পারবেন।

iPhone X এ iOS 11 এর একটি বিশেষ ফিচার দেখতে পাওয়া যায়। ডিফল্টলি লক স্ক্রীণে আপনার নোটিফিকেশনগুলি হাইড হয়ে থাকবে শুধুমাত্র iPhone X এ। এবং ফেস রিকগনিশন এর মাধ্যমে আপনার মুখ চিহ্নিত হলে নোটিফিকেশন আনহাইড হয়ে যাবে।


ফাইলস এপ 

এরপর আপনি যেটা দেখতে পারেন সেটা হল iOS 11 এর ফাইলস এপ(Files App)। এককথায় অসাধারণ। iCloud Ecosystem এ যদি আপনি সংযুক্ত থাকেন তাহলে আপনার অন্যান্য ডিভাইসে সেভ করা সমস্ত ফাইল আপনি এখানে দেখতে পাবেন এমনকি আপনার ম্যাক ডেস্কটপ এর ফাইল এবং ডকুমেন্টস ও এখানে পাবেন।

আগের থেকে যদিও পরিবর্তিত কিছু মনে হচ্ছে না কিন্তু এখানে এপল নতুনত্ব এনেছে। প্রথমবারের মত আপনাকে থার্ড পার্টি স্টোরেজ এপস(Box, Dropbox, Google Drive, Onedrive) ব্যবহারের পূর্ণ স্বাধীনতা এবং সক্ষমতা দিয়েছে। ফাইলস এপের সাথে যদিও এই এপগুলোর লিংক খুবই কম তবে সময়ের সাথে এটা আরো ভালো হয়ে উঠবে আশা করাই যায়।


ড্র্যাগ এন্ড ড্রপ কিভাবে কাজ করে

আইফোনে শুধুমাত্র দুটি জায়গায় আপনি ড্র্যাগ এন্ড ড্রপ করতে পারেন। তার একটি হল হোম স্ক্রীণ; এটা খুবই ভালো একটি ফিচার। যখন আপনি ফোর্স টাচ না করে কোন একটি এপ অনেক্ষণ ধরে টাচ করে রাখেন বা লং-প্রেস করেন জিগলি মোডে যাবার একটি আইকন দেখা যাবে, এখন আপনি আগের মতই আইকনকে ইচ্ছামত ড্র্যাগ করতে পারেন। দ্বিতীয় জায়গা যেখানে আপনি ড্র্যাগ এন্ড ড্রপ করতে পারেন তা হল ফাইলস এপ(Files App)। এখানে আপনি একাধিক ফাইলস একসাথে মুভ করতে পারেন। দুর্ভাগ্যবশত আপনি যদি হোম বাটনে চাপ লাগান তাহলে সব শেষ। আর ড্র্যাগ বা ড্রপ করতে পারবেন না।

যদিও iPad এ ড্র্যাগ এন্ড ড্রপের বেশ অনেক সুবিধা আছে কিন্তু আইফোনে তা নেই।


আইপ্যাডে মাল্টিটাস্কিং

আইফোনে মাল্টিটাস্কিং বলতে গেলে আগের মতই আছে। কিন্রু আইপ্যাডে মাল্টিটাস্কিং প্রায় বৈপ্লবিকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। এত বছর ধরে যারা আইপ্যাডে বাস্তব কাজ করার চেষ্টা করেছে তাদের জন্য এটা খুবই ভাল পরিবর্তন।

আগের মতই স্প্লিট স্ক্রীণ ব্যবহার করতে পারবেন। তবে Skinny এপকে দুইপাশে সেট করার ক্ষেত্রে আপনি বেশি স্বাধীনতা পাবেন। যখন আপনি স্প্লিট স্ক্রীণ করেন তখন এপ দুটি পেয়ারড হয়ে যায় ফলে মাল্টিটাস্কিং ভিউ এ এপ দুটি রান করে।

এখন আপনি ইচ্ছা করলে তৃতীয় এপ ব্যবহার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে অন্য যেকোন একটি এপের উপর Slide Over হিসেবে তৃতীয় এপ ওপেন করতে পারবেন। আবার ইচ্ছা করলে উইন্ডো এরুপর একটি হ্যান্ডেল টেনে নিয়ে এসে স্লাইড ওভার এপকে পূর্ণাঙ্গ স্প্লিট স্ক্রীন এপে পরিবর্তিত করতে পারবেন। এটা অনেকটা ম্যাকে পাওয়া উইন্ডো সিস্টেমের মত।


স্ক্রীণশট তুলুন

বিগত কয়েক বছরে স্ক্রীনশট তুলার ব্যাপারটি ট্রেন্ড এবং বলতে গেলে ক্রেজে পরিণত হয়েছে। মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এপল নতুন iOS 11 এ স্ক্রীণশটের ধারণা নিয়ে বেশ অনেক কাজ করেছে।

এখন আপনি যখন কোন স্ক্রীণশট তুলেন তখন বামদিকে নিচে একটা ছোট থাম্বনেইল ওপেন হয়। এখান থেকে সোয়াইপ করে স্ক্রীণশটটি সেভ করা যাবে আবার এটার উপর ট্যাপ করলে ছোট একটা এপ ওপেন হবে এখান থেকে স্ক্রীনশটটিকে আপনি ক্রপ করতে, এনোটেশন যুক্ত করতে, পেন্সিল বা পেন টুলের সাহায্যে কোন কিছুর উপর কোণ মার্ক করা বা কোন কিছু অঙ্কণ করতেও পারবেন।


লাইভ ছবি চালু করুন

আপনি যদি আগে লাইভ ফটো অপশন বন্ধ করে দিয়ে থাকেন কারণ এটা চালু রাখার কোন কারণ ছিল না তাহলে এখন চালু করে নিন লাইভ ফটো অপশন।

কিন্তু মূলত লাইভ ছবিকে নতুন লুক দিতে এপল নিয়ে এসেহে নতুন প্রযুক্তি। যখন কোন ইমেজের উপর ফোর্স প্রেস করে লাইভ ফটো অপশন চালু করবেন তখন লাইভ ফটো তৈরী করার সময় যে ছোট ভিডিও তৈরী হয়েছে সেটা দেখতে পারবেন। এই ভিডিও দিয়ে লাইভ ফটোতে বেশ কিছু এডিটিং এর কাজ করতে পারবেন। বাউন্স ব্যাক, লুপ, থ্রু টাইম, লং এক্সপোজার এর মত কাজ করতে পারবেন এই ভিডিও এর সাহায্যে।

আর আপনি যদি নতুন কোন আইফোন ব্যহবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই Portrait Lighting ফিচারটি ব্যবহার করতে ভুলবেন না।


নতুন ডিজাইন শুধুই দেখতে পারেন

আপনি হয়ত এটাই করছেন।